নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কের জানুন। নিম গাছ এমন একটি গাছ যার পাতা
থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত ওষুধ গুনে ভরপুর। নিম পাতা দিয়ে হাজার রোগের চিকিৎসা
করা হয়। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অযত্নে বড় হওয়া নিম গাছের গুনের শেষ নেই।
আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে নিম পাতার উপকারী এবং অপকারী দিকগুলো জানতে
পারবেন।কোন রোগের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা হয়, নিম পাতা আমাদের কি কি কাজে
লাগে, নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃনিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার অপকারিতা
- ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিম পাতার ব্যবহার
- চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহার
- ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যাবহার
- পেটের সমস্যা এবং হজমে নিম পাতার ব্যাবহার
- রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার ব্যাবহার
- শেষ কথাঃনিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার হাজারো গুণ ও এর উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হয়ে
যাবেন। আমাদের অবহেলিত এই নিমগাছ হাজারো ঔষধি ভরপুর যা
আমাদের অনেক কাজে লাগে। নিম পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না এর জন্য
এটিকে সকল রোগের ওষুধ বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়
নিমের ডাল, ফল, ছাল, শিকড় পাতা ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে এসেছে।
ডাল, ফল, ছাল, শিকড় এগুলোর চেয়ে নিম পাতার গুনাগুন একটু
বেশি বলে উল্লেখযোগ্য। নিম পাতার হাজারো গুনাগুন থাকলেও সামান্য
অপকারিতা ও আছে। তাই নিম পাতা ব্যবহার করার আগে নিম পাতার উপকারিতা ও
অপকারিতা জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃমধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা অনেকেই আছি যারা জানিনা নিম পাতা কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়। নিম পাতা
একটি ওষুধি পাতা যার গুণ বলে শেষ করা যাবেনা। নিম্মা নিম পাতায় রয়েছে
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মানুষের দেহের অনেক রোগ সারাতে সাহায্য
করে।সঠিকভাবে নিমপাতা ব্যবহার করলে ত্বক, চুল, দাঁত ও মুখের রোগ প্রতিরোধে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।নিম পাতার হাজারো গুনাগুনের মাঝে কিছু অপকারিতা
রয়েছে। যেমন ধরুন ত্বকের এলার্জি, যাদের ত্বকে এলার্জি আছে তাদের
নিম পাতা ব্যবহারে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় ও দুধ দান
মায়েদের জন্য নিম পাতা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম পাতা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
নিম পাতার উপকারিতা
আমাদের অতি পরিচিত একটি ইস্যুতি গুণাগুণ সমৃদ্ধ গাছ নিম গাছ নিম গাছ। এটি
একটি বহুকোষী জীব ও চিরহরিৎ জাতীয় বৃক্ষ। বয়স জ্যেষ্ঠ টা বলেন নিম গাছের
সবকিছু ব্যবহার করা যায় এর ঔষধি গুণের শেষ নেই।প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে গত ৫
হাজার বছর আগে থেকেই পশুতি গাছ হিসেবে এটির ব্যবহার হয়ে
এসেছে। এতে রয়েছে ১৩০ টি ঔষধি গুনাগুন। নিমপাতা কে একুশ
শতকের বৃক্ষ বলা হয়ে থাকে চলুন নিম পাতার কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া
যাকঃ
- ত্বকের সমস্যায় নিমপাতাঃ নিম পাতা মুখের ব্রণ, একজিমা, খুসকি এবং অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী ত্বককে পরিষ্কার রাখে।
- দাঁতের সমস্যায় নিমপাতাঃ নিম পাতা দাঁতের ব্যথা, মাড়ির রোগ এবং মুখের ঘা কমাতে সাহায্য করে।নিম পাতার পেস্ট ও তেল দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিম পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।
- পরিপাকতন্ত্রঃ নিম পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- জ্বরঃ নিম পাতা জ্বর কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে শীতল রাখে।
- চোখের চুলকানি দূর করেঃ চোখের চুলকানি চলতে সমস্যায় নিম পাতা ভালো কাজ করে। এবং চোখের চুলকান জনিত সমস্যা সমাধানে কাজে আসে।
- খুশকি নিরাময় নিম পাতাঃ নিম পাতায় থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকনাশক উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথার তালু শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করতেও এর সক্ষমতা রয়েছে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ নিমপাতা রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস নিরাময় খুব ভালো কাজে দেয়।
- ব্যথা নিরাময়ঃ নিমের তেল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বাতির ব্যথার জন্য অনেক উপকারী। এটি বাতের ব্যথার ওষুধ হিসেবে কাজে লাগানো যায়।
নিমপাতা এমন হাজারো ওষুধি গুণ রয়েছে। যা আমাদের অনেক উপকারে আসে এবং এটি
ব্যবহারে আমরা অনেক উপকৃত হই।প্রাচীন কাল থেকেই নিম পাতার ব্যবহার হয়ে
আসছে এবং ভালো উপকার মিলছে। নিম পাতা ব্যবহারের আগে ডক্টরের পরামর্শ
নিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এতে করে যদি আপনি কোন শারীরিক সমস্যা
থেকে থাকে তাহলে সেভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।আশা করছি আপনি নিম পাতার
উপকারী দিকগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারবেন।নিম পাতা ব্যাবহারের আগে নিম
পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে ব্যাবহার করা উচিদ।
নিম পাতার অপকারিতা
নিম পাতার অনেক উপকারের দিক থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তি ভেদে কিছু অপকারিতা বা
কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিম পাতা ব্যবহার করার আগে নিম পাতার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এবং ডক্টরের পরামর্শ
নিয়ে নিম পাতা ব্যবহার করা উচিত। নিমপাতা সেবন ব্যবহারের ফলে কিছু
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এতক্ষণ তো নিপা তার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম
চলুন এবার নিম পাতার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
- ত্বকের এলার্জিঃ কিছু লোকের ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার করলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে হবে।
- গর্ব অবস্থায় দুধ দানকারি মায়েদের জন্যঃগর্ভবতী ও দুধদানকারী মহিলাদের নিম পাতা সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- খালি পেটে নিম পাতাঃ খালি পেটে বেশিদিন ধরে নিমপাতা খেলে নিহিত এর বিপরীত হতে পারে। তা দীর্ঘদিন নিমপাতা না খাওয়াই ভালো।
- শারীরিক সমস্যাঃ কারো যদি নিম পাতা খাওয়ার পর বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ এটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
- অতিরিক্ত নিম পাতার ব্যবহারঃ দিনে সর্বোচ্চ দুটি নিম পাতা খাওয়া উচিত। এর অতিরিক্ত ব্যবহারে উপকারের চেয়ে বেশি অপকারিতা দেখা দিতে পারে।
-
রক্তচাপ যন্ত্রের সমস্যাঃ যাদের নিম্ন রক্তচাপ জনিত
সমস্যা রয়েছে তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। কারণ
নিম পাতা রক্তচাপ কমিয়ে দিয়ে থাকে।
নিম পাতা ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা যিনি নিম পাতা ব্যবহার করা
উচিত। একজন ব্যক্তি টানা কত দিন নিম পাতা গ্রহণ করবে সেটা একজন বিশেষজ্ঞ
ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা উচিত। যদিও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এত তীব্র নয় তবুও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এতে করে এর উপকারের
দিকগুলো গ্রহণ করে অপকারের দিকগুল বর্জন করতে পারব।
ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার দীর্ঘকাল ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে
এসেছে। এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল
এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলী ত্বক, চুল এবং সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। নিম পাতা বহু রোগের চিকিৎসা ব্যবহৃত
হয়। নিম পাতার গুণাবলী বর্ণনা করে শেষ করার নয় এটা আমাদের অনেক কাজে
লাগে এবং অনেক উপকারে আসে। চলুন ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিম পাতার
ব্যবহার জেনে নেইঃ
ত্বকের যত্নে নিম পাতা
- ব্রণ দূর করেঃ নিম পাতায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণের কারণে হওয়া ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের সংক্রামন প্রতিরোধ করেঃ নিম পাতা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন দাদ, খুশকি প্রতিরোধ করে থাকে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ নিম পাতা ত্বকের ময়লা দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে।
- ত্বকের প্রদাহ কমায়ঃ নিম পাতার এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের কোথাও কমাতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে নিমপাতা
- খুশকি দূর করেঃ নিম পাতা মাথার ছত্রাক সংক্রমণ দূর করে যা খুশকির প্রাধান্য কমায়।
- চুল পড়া কমায়ঃ নিম পাতা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
- চুলের জেল্লা বাড়ায়ঃ নিম পাতা চুলকে ময়শ্চেরাইস করে এবং জেল্লা বাড়ায়।
- মাথার চুলকানি কমায়ঃ নিমপাতা মাথার চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যের জন্য নিমপাতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিমপাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃ নিম পাতা রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- পেটের সমস্যা দূর করেঃ নিম পাতা হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে।
- জ্বর কমাতে সাহায্য করেঃ নিম পাতা জ্বর কমাতে এবং শরীর রাখতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
মানুষের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে চুল আর সে চুল যদি অল্প বয়সে পড়ে যায় তাহলে
মানুষের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা কঠিনতম একটি
সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুল পড়ার সাথে সাথে মাথার খুশকি জড়িত সমস্যা
হয়ে থাকে যার কারণে আমাদের মাথাটা অনেকে চুলকানির সমস্যা হয়। এ সকল সমস্যা
থেকে বাঁচতে আমরা যদি নিমপাতা নিয়মিত ব্যবহার করি এবং সঠিক নিয়ম মেনে তাহলে
উপকার পেতে পারি। নিম পাতার মাধ্যমে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি
খুব সহজে।
আরো পড়ুনঃকাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চুলের যত্নে অনেকভাবে নিম পাতার ব্যবহার হয়।নিম পাতায় থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং
ছত্রাকনাশক উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথার তালু শুষ্কতা ও
চুলকানি দূর করতেও এর সক্ষমতা রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত নিম পাতা চুলের মধ্যে
ব্যবহার করেন তাহলে চুলের গোড়া অনেক শক্ত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। তার সাথে
সাথে নতুন চুল গজাবে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। নিম পাতাতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যার ফলে এটা চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে, এবং
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমরা যদি চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে চায় তাহলে সঠিক নিয়মে নিম পাতার ব্যবহার আমাদের এসব সমস্যা থেকে
মুক্তি দিতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহার
আয়ুর্বেদিক ঔষধে নিম পাতার ব্যাবহার দীর্ঘকাল ধরে হয়ে আসছে এর আন্টি দায়া
ডায়াবেটিক গুনাবলির কারনে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিমের পাতা জনপ্রিয় প্রিকিতিক
উপাদান। ডায়াবেটিস একটি বহুল পরিচিত একটি রোগ যা একটি সুস্থ মানুষকে মৃত্যু
পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে।ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে
যায় এবং অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম
পাতার অনেক ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত মানবদেহে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে
গেলে ডায়াবেটিস সমস্যা দেখা দেয়। মানবদেহে ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক
মাত্রা হচ্ছে ৬.৫।এর বেসি হয়েগেলে ডায়াবেটিস সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের
এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
- রক্তে শর্করা কমায়ঃ নিম পাতার কিছু উপাদান ইনসুলিন এর কাজ করে এবং এটি রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াইঃ নিমপাতা শরীরের কষগুলিকে ইনসুলিনের প্রতি আর সংবেদনশীল করে তোলে, যার ফলে শর্করা সক্তিতে রুপান্তরিত হতে সাহায্য করে।
- আন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ নিম পাতাই প্রচুর পরিমানে আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা সরিলের কোষগুলিকে মুক্ত রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এমন আর অনেক ভাবে নিম পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। নিম পাতার গুন
বলে শেষ করা জাবেনা তাই আমরা যদি নিম পাতাকে সঠিক ভাবে সঠিক ব্যাবহার বিধি মেনে
ব্যাবহার করতে পারি তাহলে ভাল উপকার পাওয়া সম্ভব এই নিম পাতার দারা। এটি আমদের
অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই আমরা এর সঠিক ব্যাবহার জেনে সঠিক ভাবে
ব্যাবহার করা উচিদ।
ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যাবহার
নিম পাতা শুধুমাত্র ত্বক ও চুলের যত্ন নয় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রয়েছে। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি,
এবং মেটাবলিজম বাড়ানোর ক্ষমতা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে
সাহায্য করে। নিম পাতা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি বার্ন করেতে
সাহায্য করে যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। নিমপাতা শরীরের অতিরিক্ত
চর্বি জমাতে বাধা দেয় যাতে করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
নিমপাতা হজমশক্তি পাড়িয়ে শরীরের পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে সহজ করে এবং
বিপাকীয় বর্জ দূর করে। নিম পাতা ভোক কমাতে সাহায্য করে যা ওজন কমানোর
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিম পাতার অনেক গুণাগুণ রয়েছে নিম
পাতা আমাদের শরীরের ওজন কমিয়ে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিম পাতার
ডিটক্রিনফাইং গুনাগুন শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং বিপাক
ক্রিয়াকে উন্নত করে, যার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
পেটের সমস্যা এবং হজমে নিম পাতার ব্যাবহার
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিমপাতা কে দীর্ঘদিন ধরে পেটের বিভিন্ন সমস্যা
নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি
ফাঙ্গাল এবং এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী পেটের সংক্রমণ ও হজমের সমস্যার
অন্যতম পাচনতন্ত্রের রোগ নিরাময় সাহায্য করে। নিম পাতা হজমের রস
নিঃসরণ বাড়িয়ে খাবার ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে। নিম পাতা
পেটের গ্যাস জমাকে রোধ করে এবং ফাঁপা ভাব কমায়।
নিম পাতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং নিয়মিত পেট পরিষ্কারের সাহায্য করে।
নিম পাতাই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণাবলী পেটের
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। নিম পাতা পেটের আলসার নিরাময়ের
সাহায্য করে। আমরা আদি কাল থেকে দেখে আসছি নিম পাতা পেট পরিষ্কার এবং পেটের
অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। নিম পাতা হজম শক্তি বিদ্ধির মাধ্যমে আমদের
অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।
রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার ব্যাবহার
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিম পাতাকে শতাব্দীর ধরে রক্ত পরিষ্কার এবং কার্যকর
উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে এসেছে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল,
এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী রোগ থেকে বিশুদ্ধ করে এবং
দুই শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। নিম পাতা শরীরের বিষাক্ত
পদার্থ অর্থাৎ অক্সিন দূর করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে
শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। নিম পাতায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট
রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃকলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
রক্ত পরিষ্কারের নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম কিন্তু তার জন্য
ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে নিমপাতা আমরা রস করে পেতে পারি কিছু তাজা
নিমপাতা পরিষ্কার করে পেস্ট তৈরি করতে হবে এই পেস্ট থেকে রস বের করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ গ্রহণ করতে হবে তাহলে এটি রক্ত
পরিষ্কারের সাহায্য করবে। নিম পাতার চা খেয়েও আমরা উপকার পেতে পারি
কয়েকটি তাজা নিমপাতা বা শুকনো নিমপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি
করুন এবং প্রতিদিন সকালে পান করুন, এতে উপকার পাবেন। রক্ত
পরিশুদ্ধ করতে নিম পাতার বাইরের প্রয়োগ উপকারী পানিতে নিম পাতা সিদ্ধ করে
সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের হয়।
এভাবে নিমপাতা ব্যবহার করলে নিম পাতা রক্ত পরিষ্কারের সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃনিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পরিশেষে একটা কথা বলা যায় সব জিনিসের কিছু উপকারী এবং কিছু অপকারী দিক
রয়েছে। তেমনি ভাবে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। চনিম পাতা
ব্যাবহারের কিছু অপকারিতা থাকা সেবহারেনিম পাতা ব্যাবহারের উপকারিতা শেষ
নেই। বিভিন্ন উপকার সমৃদ্ধ নিম পাতা আমাদের শরীরে নানারকম সমস্যা সমাধান
করতে সক্ষম। তাই যদি নিম পাতা ব্যাবহারে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা না দেয়,
তাহলে অবশ্যই নিম পাতা ব্যাবহার করা উচিদ বলে আমি মনে করি।
নিম পাতা ব্যাবহারে কিছু উপকারি এবং কিছু অপকারি দিক রয়েছে। উপরিক্ত
সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে নিম পাতা ব্যাবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। এমন আর
অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল বা পোস্ট পেতে আমদের ওয়েবসাইট টিকে ফলো দিয়ে
রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url