এলার্জি দূর করার উপায় কি - এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ
এলার্জি দূর করার উপায় কি তা সম্পর্কে জানুন। এলার্জি খুব কমন একটি সমস্যা।
শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে অনেক সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি
কমে যেতে পারে। আবার অনেকের ছোটবেলায় এলার্জি সমস্যা না থাকলেউ বয়স বাড়ার সাথে
সাথে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আমদের অনেকেরই
এলার্জির সমস্যা রয়েছে। ছোট থেকে শুরু করে বয়স্ক - সবাই এই সমস্যাই ভুগে
থাকে। এলার্জির সমস্যার কারনেই সুস্বাদু খাবার খেতে পারেনা। এতে করে অনেক সময়
পুষ্টিহীনতায় ভুগতে হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃএলার্জি দূর করার উপায় কি - এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ
এলার্জি দূর করার উপায় কি
এলার্জি খুব কমন একটি সমস্যা। শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে অনেক
সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি কমে যেতে পারে। আবার অনেকের ছোটবেলায় এলার্জি সমস্যা
না থাকলেউ বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার যাদের ছোটবেলায়
এলার্জি ছিল, তাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকটাই কমে গেছে।এলার্জির
সমস্যার কারণে অনেকেই সুস্বাদু খাবার খেতে পারে না। এতে করে অনেক সময়
পুষ্টিহীনতায় ভুগতে হয়। অনেকেই এলার্জির সমস্যা কে তেমন গুরুত্ব দেই
না, ফলে ধীরে ধীরে এ সমস্যা আরো তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করে। আর
তখন শুরু হয় যন্ত্রনা, তাই এলার্জি সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জেনে রাখা
উচিত। এবং এলার্জি দূর করার উপায় কি তা জেনে রাখা উচিত। চলুন
এলার্জি দূর করার জন্য কিছু ঘরো উপায় ও চিকিৎসা জেনে নেইঃ
- আপেল সিডার ভিনেগারঃ এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ আপেল ফিডার ভিনেগার ও সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একসাথে দুইবার পান করুন।
- মধুঃ দুই টেবিল চামচ খাঁটি মধু এক কাপ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার খেতে পারেন।
- আদাঃ আদা দিয়ে চা বানিয়ে তার সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- অ্যালোভেরাঃ ত্বকের এলার্জি হলে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
- বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ত্বকের pH ভারসাম্য কি রক্ষা করতে পারে এবংভারসাম্যহীনতাকে মোকাবেলা করে থাকে।
- ডক্টরের পরামর্শঃ এলার্জি বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- এলার্জির ওষুধঃ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এলার্জির ওষুধ খান।
- এলার্জেন এড়িয়ে চলাঃ যেসব জিনিসে আপনার অ্যালার্জি হয়, সেসব জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
এলার্জি সমস্যা কি কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। আপনার যদি এলার্জি সমস্যা
থেকে থাকে তাহলে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। এলার্জি সমস্যা গুলো কিছু
নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই ঠিক হয়ে যায়।যেমন ধরুন আপনার যেসব খাবারে এলার্জি
সেসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে আপনি অনেকটাই এলার্জি সমস্যা
থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। আপনার যদি এলার্জি সমস্যা তীব্র হয়ে থাকে
তাহলে অবশ্যই একজন ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ
এলার্জি চুলকানি খুবই বিরক্তকর এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে চিন্তা করার কিছু
নেই , বেশ কিছু ঔষধ ও ঘরোয়া উপায় আছে। যা এই চুলকানি দূর করতে সাহায্য করতে
পারে। এলার্জি সমস্যা কি কখনো অবহেলা করা উচিত নয়, এতে করে এটি আরো
মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করা
যায়, এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ ও ঘরোয়া রয়েছে
যেগুলো এলার্জি চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়। চলুন ওষুধগুলো
সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
- আন্টিহিস্টামিনঃ এ ধরনের ওষুধ শরীরের লিস্টামিনের উপাদান কমিয়ে দেয়, যা এলার্জির প্রধান কারণ।
- কটিকোস্টেরয়েডঃ ত্বকের এলার্জির জন্য ক্রিম বা দশমীর আকারে কটিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।
- এন্টিপুরিটিকঃ এই ওষুধগুলি চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা সেকঃ চুলকানির জায়গায় ঠান্ডা সেফ দিলে তা কিছুটা আরামদায়ক হতে পারে।
- এলোভেরাঃ এলোভেরা জেল ত্বকের জ্বালা কমাতে এবং শীতল করতে সাহায্য করে।
- বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে তৈরি পেস্ট চুলকানির জায়গা লাগাতে পারেন, এতেও সমাধান মিলবে।
- ওটমিল বাথঃ ওটমিল বাথ তকের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।ক্রোটামিটন লোশন চুলকানি এবং ত্বকের জ্বালা কমাতে ব্যাবহারিতো হয়ে থাকে।
সাধারণত চুলকানি দূর করার ঔষধ হিসাবে এগুলা ব্যাবহারিত হয়ে থাকে। আর
অনেক ঔষধ আছে এগুলো ছাড়া। চুলকানি বা অ্যালার্জি কে অবহেলা না করে গুরুত্ব
সহকারে দেখা উচিদ। তাহলে অনেক সহজে এটির সমাধান সম্ভব। আপনার যদি
অ্যালার্জি বা চুকনির পরিমান তীব্র হয়ে থাকে তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার
এর পরামর্শ নেওয়া উচিদ।
এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনার যদি এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে, আপনি নিশ্চয়ই এলার্জি দূর করার
ঘরোয়া উপায় কি তা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এলার্জি দূর করার কিছু
ঘরোয়া উপায় রয়েছে, বর্তমানে অল্প অল্প শীত পড়তে শুরু
করেছে। আর এ সময় অনেকেরই এলার্জির সমস্যা বাড়তে থাকে। এ সময়
বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধুলাবালি ও বাতাসের জীবনুর পরিমাণ বেড়ে
যায়। ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের এই সময় এলার্জি
মারাত্মক আকার ধারণ করে, বাইরের ধুলাবালি কিংবা ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি
সমস্যার কারণে এলার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। এলার্জির সমস্যা
হলে একটি প্রতিকারের জন্য ঘর অভাবে আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারি,
চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাকঃ
- আপেল সিডার ভিনেগারঃ এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ আপেল ফিডার ভিনেগার ও সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একসাথে দুইবার পান করুন।
- মাস্ক ব্যবহারঃ আপনি সুস্থ থাকতেও বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে এলার্জির সমস্যা কিছুটা কম দেখা দিবে।
- সতর্কতাঃ এলার্জি বের হলে আপনার পুরো শরীরে গ্যাস বের হতে পারে। এটা থেকে আপনি সতর্ক হোন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিন।
- পুষ্টিকর খাবারঃ বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমনঃ লেবু, কমলা, মালটা, স্ট্রবেরি, কাঁচামরিচ, পেয়ারা ইত্যাদি জাতীয় তাজা শাকসবজি নির্মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- মধুঃ দুই টেবিল চামচ খাঁটি মধু এক কাপ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার খেতে পারেন।
- আদাঃ আদা দিয়ে চা বানিয়ে তার সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- অ্যালোভেরাঃ ত্বকের এলার্জি হলে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
- বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ত্বকের pH ভারসাম্য কি রক্ষা করতে পারে এবংভারসাম্যহীনতাকে মোকাবেলা করে থাকে।
- ডক্টরের পরামর্শঃ এলার্জি বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- এলার্জেন এড়িয়ে চলাঃ যেসব জিনিসে আপনার অ্যালার্জি হয়, সেসব জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
এলার্জির সমস্যা হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সে এটি
হতে পারে। অনেকের ছোট অবস্থায় থাকে না, কিন্তু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে এলার্জির
সমস্যা হয়ে যায়। আবার অনেকের ছোট অবস্থায় এলার্জির সমস্যা থাকলেও বেধে ওঠার
সাথে সাথে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের এসব বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকতে
হবে।কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে পারলে ঘরোয়াভাবেই এলার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করা
সম্ভব। অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে একজন ভালো ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
রক্তে অ্যালার্জি আছে কি তা বুজতে হলে কিছু বিষয় লক্ষ করলেই আপনি তা বুজতে
পারবেন। ধুরুন আপনি ঘরের ধুলো পরিষ্কার করছেন এর মধ্যে আপনার যদি হাঁচি কাসি
শুরু হয়ে যায় তাহলে এটি অ্যালার্জির লক্ষন। আবার ধুরুন আপনি ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন
, কিম্বা ইলিশ মাছ খাচ্ছেন , গরুর মাংস বা দুধ খাচ্ছেন এতে আপনার যদি চুলকানি ব
আ চামড়া লাল হয়ে যাই তাহলে বুজতে হবে আপনার অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে। রক্তে
অ্যালার্জি একটি বিরল ঘটনা । সাধারণত আমরা কোন নির্দিষ্ট খাবার , ধুলা, পরাগ বা
ঔষধ এর প্রতি অ্যালার্জিগোস্ত হয়ে থাকি। আপনার সকল বিষয় লক্ষ করে যদি বুজতে
পারেন আপনার অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাহলে অবশ্যই একটি অভিজ্ঞ ডাক্তার এর
পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু সাধারন অ্যালার্জির লক্ষণঃ
- ত্বকের চুলকানি
- লালচে ফুসকুড়ি
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- চখের পানি পড়া
- শ্বাসকষ্ট
- পেট খারাপ
এলার্জি কমানোর উপায় হলো যে কারণে আপনার এলার্জি হচ্ছে সে কারণগুলো সনাক্ত
করে তা থেকে এড়িয়ে চলা। রক্তে এলার্জি কমানোর জন্য এলার্জি হতে পারে
এমন জিনিস থেকে এড়িয়ে চলা এবং ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়
অবলম্বন করা এছাড়াও এলার্জির ভ্যাকসিন ও এলার্জিজনিত রোগীদের সুস্থ থাকার
জন্য অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন ভ্যাকসিন দেওয়ার
মাধ্যমে এলার্জি কমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে
দীর্ঘমেয়াদি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়
এলার্জি দূর করার উপায় কি এ বিষয়টি চিন্তা করতে গেলে এলার্জির অনেক ধরন উঠে আসে
তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্কিন এলার্জি বা ত্বকের এলার্জি। ত্বকের এলার্জি
থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায় হচ্ছে অ্যালোভেরার জেল। এলার্জি কারণেই
টকের চুলকানি ও শুকনো সমস্যা হয় তাহলে অ্যালোভেরার ঔষধি গুন গুলো দুধ জ্বালাও
চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। একটা তাজকে লাগাতে পারেন। আর
যদি এলোভেরা না থাকে এলোভেরার পরিবর্তে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে
পারেন। ত্বকের এলার্জি বুঝতে পারার কয়েকটি উপায় রয়েছে যেমন
চুলকানি, লাল ভাব এগুলো দেখে বোঝা যায় ত্বকের এলার্জি সমস্যা
রয়েছে।
আপনার যেসব জিনিসের প্রতি এলার্জিটিক সমস্যা রয়েছে সেসব জিনিস থেকে দূরত্ব বজায়
রাখুন। চিকিৎসা গতভাবে, সব ধরনের ত্বকের এলার্জিকে বলা হয় অতি সংবেদনশীল
প্রক্রিয়া। যেটি তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া হিসেবে প্রকাশিত হয় তাকে
টাইপ-১ অতি সংবেদনশীল প্রক্রিয়া বলা হয় এবং বিলম্বিত সূচকে টাই
৪ প্রতি সমবেদনশীল প্রক্রিয়া বলা হয়। ত্বকের এলার্জি সাধারণত কয়েক
ধরনের হতে পারে যেমনঃ ছত্রাক বা আমবাত,এটোপিক ডার্মাটাইটিস, এলার্জিক
ডার্মাটাইটিস।
একটু পিক ডার্মাটাটিস রোগ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে এলার্জিন এড়িয়ে চলুন
এবং প্রভাবিত এলাকায় স্টেরয়েড ক্রিম প্রয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। আপনার
যদি আমবাত বা মুত্রাশয় ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে আপনার কারণগুলি
সনাক্ত করে ধূলিকণা এবং যেসব খাদ্যে এই এলার্জি রয়েছে
সেসব খাদ্য এড়িয়ে চলুন। সুতির তৈরি ঢিলা ঢালা পোশাক
পড়ুন। আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত ঔষধ গ্রহণ করুন। গোসলের সময়
প্রয়োজনে মশ্চারাইজার প্রয়োগ করে আপনার ত্বককে প্রশমিত করুন। এবং ধুলো
সিগারেটের ধোঁয়া এগুলোকে এড়িয়ে চলুন।
আপনার যদিএলার্জিক ডার্মাটাইটিস সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার ত্বকে
জ্বালাতন করে এমন কাণ্ড গুলি শনাক্ত করুন এবং তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায়
রাখুন। হালকা সাবান ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানগুলিকে সঠিকভাবে ধুয়ে ফেলুন।
আপনার ত্বককে যদি শুষ্ক মনে হয় তাহলে মশ্চারাইজার লাগিয়ে পশমিত করতে পারেন এতে
উপকৃত হবেন। এভাবে আপনি ত্বকের এলার্জি দূর করতে পারেন এবং সুস্থ থাকতে
পারেন।
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়
চর্ম এনার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। বিভিন্ন কারণে টক এলার্জিক হয়ে
উঠতে পারে। যেমন কোন নির্দিষ্ট খাবার, ধুলো, পরাগ, ওষুধের
প্রতি এলার্জি। চর্ম এলার্জির লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় ত্বকের
চুলকানি, লালচে
ফুসকুড়ি, শুষ্কতা, ফুসকুড়ি, চামড়া ফাটা এগুলো লক্ষণ
দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার চর্ম এলার্জি রয়েছে। চর্মদা কি দূর করার জন্য
কিছু কার্যকারি উপায় রয়েছে যেমনঃ
শীতল পানির ব্যবহার আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি
চুলকানি ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক এলোভেরা জেল লাগালে
চুলকানিও প্রদাহ কমে। ওটমিল গুড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ
করুন। এটি ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য করে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সঙ্গে
পরামর্শ করুন। তারা এন্টিহিস্টামিন বা কটিকোস্টেরয়েড ক্রিম দিতে পারে।
সুতি কাপড় পড়ুন। ত্বক পরিষ্কার রাখুন। রাসায়নিক যুক্ত
প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পানি পান করুন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
খাবার খান।
নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নাকের এলার্জি খুব বিরক্ত করে একটি সমস্যা। এটি সাধারণত ধুলো,
পরা্ পৌষম ইত্যাদি সংস্পর্শে আসার ফলে হয়। নাকের এলার্জি হলে আমাদের
অনেক সমস্যা করতে হয়। এবং ছোটখাটো বিষয়ে অনেক সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়
এবং এটি খুব বিরক্তকর বিষয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায়
অবলম্বন করতে পারেন। চলুন নাকের এলার্জি দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে জেনে নেই ঃ
- গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে নেটি পটের মাধ্যমে নাক পরিষ্কার করুন। ইতিনা সারন্দের জমে থাকা ময়লা ও জীবনে দূর করে।
- এক বাটি গরম পানিতে কয় ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা পুদিনা তেল মিশিয়ে বাষ্প নিন। এটি নাক বন্ধ হয় এবং এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।
- এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং লেবু রস মিশিয়ে পান করুন। এটি শরীরের ইমিউনি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- এক গ্লাস গরম দুধে আধা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে পান করুন। হলুদের আন্টি ইনক্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য নাকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন ১ থেকে ২ কর কাঁচা রসুন খেলে এলার্জি কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- তুলসী পাতা, আদা এবং মধু দিয়ে চা তৈরি করে পান করুন। এটি শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
- নাক ঢেকে রাখুনয, বিশেষত ধুলা ও ফুলের রেনুর মধ্যে গেলে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন লেবু, কমলাচ, আমলকি এবং মসলা জাতীয় খাবার খান।
- শরীরে হাইড্রোজেন রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি খান।
- যেসব জিনিসে আপনার এলার্জি হয়, সেগুলো কি এড়িয়ে চলুন।
- বাড়ি এবং রুম পরিষ্কার রাখুন যেন ধুলো না জমে।
- যদি ঘরোয়া উপায়ে আপনার সমস্যা না কমে তাহলে একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শা নিন।
এভাবে ঘরোয়া উপায় কি কাজে লাগিয়ে নাকের এলার্জি দূর করা সম্ভব। তাই এলার্জি সমস্যা হলে সেটিকে অবহেলা না করে গুরুত্ব সহকারে দেখুন। এবং সঠিক ঘরোয়া উপায় এর সমাধান করার চেষ্টা করুন। যদি ঘরোয়া উপায় আপনার এলার্জি না কমে তাহলে একটু অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এভাবে যদি আপনি চলতে পারেন তাহলে আপনি এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
এলার্জি দূর করার উপায় কি? এ বিষয়টি জানার আগে আমাদের জানতে হবে
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো। কেননা এলাঠি জাতীয় খাবার থেকে
আমাদের অনেকেরই এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আমাদের এলার্জি
জাতীয় খাবার গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ
মানুষ জানে না কোন খাবারের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে আপনার যদি
এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে অর্থাৎ কোন খাবার খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা যায়
তাহলে আপনাকে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে। আর
কোন খাবার খেলে আপনার সমস্যা হচ্ছে এটি চিহ্নিত করতে হবে। চলুন
এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
- দুধঃ সাধারণত গরুর দুধে থাকা প্রোটিনের কারণে এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে।
- ডিমঃ ডিমের সাদা অংশ থাকা প্রতিনি বেশি এলার্জি সৃষ্টি করে থাকে।
- চিংড়ি ও সামুদ্রিক খাবারঃ চিংড়ি, কাঁকড়া, লাবস্টার, এবং বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ।
- বাদামঃ কাজু, আমন্ড, আখরোট এবং চীনা বাদাম এলার্জি থাকে।
- সয়াবিনঃ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারে ব্যবহৃত সোয়াবিনের এলার্জি থাকে।
- গ্লুটেনঃ গম, বালি, ওটস, ইত্যাদিতে এলার্জি রয়েছে।
- মাছঃ বিশেষ করে টুনা, স্যামন, ইত্যাদি খাবারের এলার্জি রয়েছে।
- মধুঃ মধুতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
- ফলস ও সবজিঃ স্ট্রবেরি, কিউই, টমেটো ইত্যাদি খাবারের এনার্জি রয়েছে।
- চকলেট ও কোকোঃ চকলেট ও কোকো থাকা উপাদানে এনার্জি রয়েছে।
এলার্জি সমস্যা হলে করণীয়
ইলার যে সমস্যা হলে আমাদের করণীয় আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত আমাদের
মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ বিষয়গুলো না জানার কারণে বেশিরভাগ সময় সমস্যার মধ্যে
থাকে। এনার্জি হলে করণীয় কি এবং এলার্জি দূর করার উপায় কি এগুলো
সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে জেনে রাখা উচিত। এতে করে আমরা অনেক ধরনের
সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। আপনার যদি এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে
তাহলে প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন কারণে আপনার সমস্যা
হচ্ছে। সে কারণটিকে খুজে বের করে সে বিষয়টি থেকে দূরে থাকতে
হবে। তাহলে খুব সহজেই এলার্জি সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় খাবার থেকে বেশি এলার্জি সমস্যা হয়ে
থাকে। কোন খাবারের কারণে আপনার এলার্জি সমস্যা হচ্ছে এ বিষয়টি যদি আপনি
না জানেন তাহলে এর সমাধান করতে পারবেন না। আর বিষয়টা যদি আপনি জানা
থাকে তাহলে খুব সহজে খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে পারবেন।আবার অনেক সময়
দেখা যায় বাইরে ধুলাবালি নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করার কারণে এলার্জি সমস্যা
হয়।এটি অনেকে জানে না বা অনেকের অবহেলার কারণে এ সমস্যার গুরুত্ব আরো হতে
থাকে। আপনার যদি আগে থেকেই বিশেষ সম্পর্কে জানা থাকে আপনি যদি বাইরে বের
হওয়ার সময় মাস্ক পরিধান করেন তাহলে এসব সমস্যা থেকে সমাধান বা মুক্তি পেতে
পারেন।
শেষ কথাঃএলার্জি দূর করার উপায় কি
এলার্জি দূর করার উপায় কি? এলার্জি চুলকানি দূর করার ঔষধ এ বিষয় থেকে
আলোচনা শুরু করে এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি
একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই বিষয়গুলো
সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ আমরা অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভুগে
থাকি। আগে থেকেই বিষয়গুলো জানা থাকলে বিষয়গুলো মোকাবেলা করা অনেকটাই
সহজ হয়ে যাবে। এবং অনেক কঠিন রোগ থেকে আমরা সহজে মুক্তি পেতে পারবো।
আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেল থেকে কাঙ্খিত বিষয়গুলি জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের
আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত
ভিজিট করুন এবং আপনি চাইলে ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url