তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর ১০ টি গোপন টিপস

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়, কি তা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। তৈলাক্ত ত্বক মানে হাজারো সমস্যা, সারাদিন নাকে দুপাশে, কপালে তেলতেলে ভাব থাকে। তার উপরে তো ব্রণ ফুসকুড়ির সমস্যা আছেই।
তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণ-দূর-করার-উপায়
আজকের আর্টিকেলে আমরা তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্রণ কিভাবে খুব সহজে দূর করা যায়, সে উপায় সম্পর্কে জানব। অলিভ তেল এবং এমন কিছু ফেসপ্যাক যা ঘরে বসেই তৈরি করা যায়, যা আমাদের ত্বকের তৈলাক্তক এবং ব্রণ সমস্যা দূর করতে পারে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃতৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় কি তা অনকেই জানেনা, এর জন্য অনেক সমস্যাতে পড়তে হয়। এই সমস্যা গুলো থেকে বাসতে আপনি অলিভ তেলের ফেসপ্যাক ব্যাবহার করে তা থেকে সমাধান পেতে পারেন। এক চামচ অলিভ তেলের সাথে হাফ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই ফেসপ্যাক ব্যাবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর হবে। 

তৈলাক্ত ও ব্রণ করার জন্য নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। কমপক্ষে হলেও দিনে দুইবার সকাল রাতে ত্বক পরিষ্কার করুন। এবং ঘাম হওয়ার পর মুখ ধুয়ে নিন, এখানে আপনি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটির প্যাক, এলোভেরার জেল এগুলো অনেক সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিক স্কাব হিসেবে তিনিও লেবুর মিশ্রণ দিয়ে সপ্তাহে একবার স্কাব করুন। এবং প্রতিদিন রাতে এলোভেরা জেল মুখে লাগান।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে চাইলে পানিও ভিনেগারের মিশ্রণ ঠান্ডা করে তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগাতে পারেন। এবং বরফ তৈরি করেও ত্বকে ঘষতে পারেন। এছাড়াও লেবু দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়, উপাদান হিসেবে এক টেবিল চামচ তাজা লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে গারো মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এ মিশ্রণ টিকে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপরে সেটিকে ধুয়ে ফেলুন, এতে করে ভালো ফলাফল পাবেন।  

ব্রোনের দাগ হালকা করার ক্ষেত্রে লেবুর রস মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট পর ধরে ফেলুন। অথবা টমেটো রস ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া মাস্ক হিসেবে হলুদ ও মধুর মাস্ক অথবা ট্রি টি ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, তৈলাক খাবার যেমন চিনি এবং দুদ্ধজৎপন্ন এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত ঘুমান প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। এবং ব্রণের সমস্যা যদি অতিরিক্ত বেশি হয় তাহলে একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়,এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় রয়েছে যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। ঘরোয়াভাবে কিছু উপাদান ব্যবহার করে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায়। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সবসময় মুখে যত নিতে হয়। এর মধ্যে তৈলাক্ত সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জন্য বাড়তি যত্ন নিতে হয় কারণ তৈলাক্ত সমস্যা অন্য সকল সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলে। আপনি চাইলে মুখ ধোয়ার পর মাস্টাররাইজার ব্যবহার  করতে পারেন। চলুন মুখের তৈলাক্ত ভাব কিভাবে দূর করবেন কার উপায় সম্পর্কে জেনে নেইঃ 
  • বেসনের ফেসপ্যাকঃ এক চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ এবং সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • লেবু ও মধুর মিশ্রণঃ এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ মধু মেশি মুখে লাগান। এতে অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে।
  • টমেটোর রসঃ টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। 
  • অ্যালোভেরার জেলঃ প্রাকৃতিক এলোভেরার সরাসরি মুখে লাগান। এটি ত্বক শীতল রাখে এবং তৈলাক্তক ভাব কমায়।
  • চালের গুড়ার স্ক্রাবঃ চাঁদের গোড়া ও দই মিশিয়ে মৃদু স্ক্রাব তৈরি করুন। ইতি ত্বকের মৃত কোষ ও অতিরিক্ত তেল দূর করে।
  • পুদিনা পাতার প্যাকঃ পুদিনা পাতা পিষে তার রস মুখে লাগান। ইটি ত্বক সতেজ এবং তেল নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ঠান্ডা পানি ঝাপটাঃ দিনে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বক থেকে তেল দূর করে। 
  • চন্দন গুড়াঃ ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমিয়ে আনে।
  • গ্রিন টি টোনারঃ ব্যবহৃত দিনটি ঠান্ডা করে তোমার হিসেবে মুখে স্প্রে করুন। এটি ত্বকের তলাক্ত ভাব কমায়।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ টপ হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, যা তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
আপনি যদি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এবং বোন দূর করতে চান, তাহলে এই ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এ ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো নিয়মিত প্রয়োগ করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব কমবে। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্নে এ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

তৈলাক ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার  

তৈলাক্তক তোকে মশ্চারাইজার ব্যবহার, করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি হয়তো ভাবছেন, তৈলাক্ত ত্বকেও কি আলাদা করে মশ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন আছে? একশ বার আছে। এ ভুল ধারণা আমরা অনেকেই নিয়ে চলি যে, তৈলাক্ত ত্বকে হয়তো মশ্চারাইজার লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই। এর থেকে ভুল ধারণা আর কিছু হতে পারে না। 

মশ্চারাইজার আপনার ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে তেল নিঃসরণ সম্পর্ক নেই।শুধুমাত্র জেল বেতিত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে মশ্চারাইজার হিসেবে এলোভেরার জেলও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। তৈলাক্ত ত্বক মানে এই না যে মশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। মশ্চারাইজারের কাজ হল আপনার ত্বককে শুষ্কতা রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচানো, যা একটি সুন্দর ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

পুরুষদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায়

পুরুষদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায়  এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় জানা থাকলে অনেক সহজে মুখের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ দূর করা যায়। রূপচর্চা বা ত্বকের যত্নের সঙ্গে মেয়েদের নামটি যেভাবে উচ্চারিত হয়, ছেলেরা থেকে যায় ততটাই উপেক্ষিত। যে ছেলেদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা কিছু ঘরোয়া উপায় বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব দূর করা সম্ভব, এছাড়াও যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদেরকে ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। যা তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে এতে করে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। 

ত্বকের ধরনের মধ্যে রয়েছে শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, মিশ্র ত্বক ও সেনসিটিভ ত্বক। তবে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে ওয়েল স্কিন বা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। টক তৈলাক্ত হলে একের পর এক সমস্যা লেগেই থাকে। ঘুম থেকে উঠে দেখবেন মুখ তেল চুপ হয়ে আছে। তোকে তেল জমে থাকলে তা ধুলো ময়লা আরও বেশি টেনে আনে। তাই এগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত দিনে দুইবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, অনেক ধরনের ফেস মাস্ক রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এমন কতগুলো নিয়ম ঠিকভাবে মেনে চললে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। 

মেয়েদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায়

মেয়েদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।যদি জানা থাকে তাহলে সহজে ঘরোয়া কিছু উপায় এবং এর সাথে সাথে আরো কিছু মাধ্যম দ্বারা মেয়েদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করা যাবে। ছেলেদের ত্বকের মতো মেয়েদের ত্বকের এমন সমস্যা হয়ে থাকে, ছেলেরা বেশি গুরুত্বসহকারে না দেখলেও মেয়েরা এটিকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখে। কিন্তু অনেকে এটা সঠিক সমাধান না পেয়ে তৈলাক্তক ভাব দূর করতে ব্যর্থ হয় এবং অনেক চিন্তা থাকে। 
তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণ-দূর-করার-উপায়
ছেলেদের ত্বকের মত মেয়েদের ত্বকেও একইভাবে যত্ন নেওয়া সম্ভব। তবে ছেলেদের ত্বকের থেকে মেয়েদের ত্বক আলাদা হয় ত্বকের সাথে মানানসই পণ্য ব্যবহার করতে হবে। এবং ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে হবে। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে জেনেছি, আপনি চাইলে সে উপায় গুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন এতে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করা সম্ভব। 
ত্বকের ধরনের মধ্যে রয়েছে শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, মিশ্র ত্বক ও সেনসিটিভ ত্বক। তবে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে ওয়েল স্কিন বা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। টক তৈলাক্ত হলে একের পর এক সমস্যা লেগেই থাকে। ঘুম থেকে উঠে দেখবেন মুখ তেল চুপ হয়ে আছে। তোকে তেল জমে থাকলে তা ধুলো ময়লা আরও বেশি টেনে আনে। তাই এগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত দিনে দুইবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, অনেক ধরনের ফেস মাস্ক রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এমন কতগুলো নিয়ম ঠিকভাবে মেনে চললে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। 

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, কথাটা শুনে অবাক হচ্ছেন তাই না? ভাবছেন বরফ দিয়েও আবার ব্রণ দূর করা যায়! হ্যাঁ বরফ দিয়েও করা সম্ভব। ভ্রুনের জন্য বরফের ব্যবহার করতে, একটি পরিষ্কার কাপড়ে একটি বরফের টুকরা মুড়ে প্রায় ১-২ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি প্রদাহ এবং লালবাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার এর পুনরাবৃত্তি করুন। এটি একটি অস্থায়ী পরিমাপ এবং ভালো ফলাফলের জন্য এর সাথে অন্যান্য মাধ্যম দ্বারা চিকিৎসা করা উচিত। 

স্বপ্ন ব্রোনের উপরে বরফ প্রয়োগ ব্রণের আকার কমাতে, ব্যথা কমাতে এমনকি লাল ভাব বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত একটি প্রয়োগ করলে ধীরে ধীরে ব্রণ সংকুচিত হয় যতক্ষণ না এটি নিরাপদে বের করা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।এটি ব্রনের পরবর্তী ফ্লেয়ার -আপে সাহায্য করে, এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিরাময় করার পাশাপাশি খোলা পরশ বন্ধ করে।

কিন্তু উল্টা দিকে বরফ প্রয়োগ করা অনেকের জন্য একেবারেই উচিত নয়। এমন কি এটি আরো ব্রণ ও প্রদাহ ট্রিগার করে।সেনসিটিভ ত্বক যাদের ব্রণ এ বরফ লাগালে পরে লালবাগ অনুভব করতে পারে।তাই সকল দিক বিবেচনা করে, বরফের ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণ দূর করা যায়। তাই বরফ ব্যবহারের আগে ত্বকের প্রতিক্রিয়া দেখে নিবেন এবং সাবধানতা অবলম্বন করবেন। 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ক্রিম 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ক্রিম,সম্পর্কে অনেকেই জানিনা,আবার অনেকে চিন্তাতে পড়ে যায় কোন ক্রিমটা ভালো হবে এমন নানা সমস্যার কারণে আমরা ঠিক করতে পারি না, তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য কোন ক্রিমটা আমাদের জন্য উপকারী হবে। এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে। তৈলাক্তক ত্বক বা ওয়েলি স্কিন আমাদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের কারণে সকল সমস্যা জটিল রূপ নিয়ে থাকে, এবং অনেক সমস্যায় পড়তে হয় এটার জন্য। চলুন তৈলাক ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য কিছু কার্যকারী ক্রিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ 
  • নরম্যাকনে পোর মিনিমাইজিং সিরামঃ এই শ্রীরাম কি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, মৃত ক্রস অপসারণ এবং দৃশ্যমান পোরস ৬২% পর্যন্ত কমায়। এটি এন্টি - ব্যাকটেরিয়াল ফর্মুলা সমৃদ্ধ, যা ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ক্লিনক্লিনিক হেলিক্সল ক্রিমঃ এই ক্রিমটি ব্রোণ, ব্রণের দাগ ও ক্ষত দ্রুত সারাতে কার্যকর। এটি ত্বকের পূর্ণ জন্ম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ত্বকের উজ্জ্বল ও মসৃণ গড়ে তোলে।
  • ক্লিনক্লিনিক ভিটা সি-৮ ক্রিমঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ক্রিমটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ড্রিপিগমেনটেনশনে সহায়তা করে। এটি ত্বকের টোন সমান করে এবং ব্রনের পরবর্তীকালে দাগ হ্রাস পায়।
  • ক্লিনক্লিনিক ফেসিয়াল ক্লিনজিং সোপঃ এসব কি ত্বকের ময়লা ও মেকআপ দূর করতে সাহায্য করে, ক্যামোমাইল নির্যাস এর মাধ্যমে ত্বককে কোমল ও নমনীয় রাখে। যা ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • লেরেল ডার্মোসফট ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেলঃ এই ফেসিয়াল জেলটি ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও মেকআপ পরিষ্কার করে, টকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং শসা ও গ্রীনটির নির্যাস এর মাধ্যমে ত্বককে সতেজ রাখে। 
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ক্রিমগুলো ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন জনের ত্বকের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে। তাই ত্বকে ব্যবহার করে এর প্রতিক্রিয়া গুলো দেখে ব্যবহার করবেন। যেটি আপনার ত্বকের সাথে মানানসই হয় সেটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।ব্যবহারের পরে যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ নিন। 

ব্রণ হলে কী করবেন কী করবেন না 

ব্রণ হলে কী করবেন কী করবেন না , এগুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে ব্রণ থেকে সুরক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। বাড়িতে টিপস গুলো মেনে চললে সমস্যা ব্রণের সমস্যা থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন। তাই গ্রহণ হলে দুশ্চিন্তা না করে জেনে নিন, ব্রণের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে হলে কি করবেন, আর কোন কাজগুলো কখনোই করবেন না। 
যা করবেন
  • ত্বক পরিষ্কার রাখুন 
  • মাস্টাররাইজার ব্যাবহার করুন 
  • সানস্ক্রিন ব্যাবহার করুন
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন
  • ব্রণ এর জন্য মেডিকেটেড ক্রিম ব্যাবহার করুন
  • ডারমাটলজিস্টের সঙ্গে  পরামর্শ নিন
যা করবেন না 
  • ব্রণ স্পর্শ বা চাপ দেবেন না
  • মেকআপ বেশি ব্যাবহার না করা 
  • অপরিস্কার তয়ালে বা বালিশ ব্যাবহার না করা
  • অতিরিক্ত রাসয়নিক বা স্ক্রাব ব্যাবহার না করা
  • অসাস্থকর খাবার খাবেন না
এই নিয়ম গুলো মেনে চললে ব্রণ নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং ত্বক সুস্থ ও মসৃণ থাকবে। যে কাজগুলো করতে বলা হয়েছে সেই কাজগুলো নিয়মিত করতে হবে। এবং যে কাজ গুলো নিসেধ করা হয়েছে সে কাজ গুলো থকে বিরত থাকতে হবে। এই সকল বিষয় গুলো মেনে চলতে পারলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এবং ব্রণ সমস্যা যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে একজন  অভিজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ নিন।

মধু দিয়ে দূর করুন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ সমস্যা 

মধু দিয়ে দূর করুন ব্রণ সমস্যা এই কথাটি শুনে হয়তো অনেকে অবাক হয়ে যাবেন। ভাববেন মধু দিয়ে আবার কিভাবে ব্রণ সমস্যার সমাধান করা যায়। মুখ ভর্তি ব্রণ, তেলতেলে ভাব বিরক্ত কর, এক চামচ মধুতে মিলবে শুরাহা। তৈলাক্তক তোকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ব্রণ। এছাড়াও সারাক্ষণ মুখে তেলতেলে ভাব লেগেই থাকে এটি একটি বিরক্তকর কারণ। তৈলাক্ত ত্বকে যে কোন পণ্য ব্যবহারের আগে পাঁচবার ভাবতে হবে। অয়েলি স্ক্রিনে শোবার আগে ব্রণ ও ব্রেক আউটের সমস্যা দেখা দেয়। 
তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণ-দূর-করার-উপায়
মধুর ত্বকের জন্য কি প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপাদান। জাবরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মধুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ইনফরমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন ব্রুন দুটো সরাতে সাহায্য করে।সরাসরি মধু ব্যবহার করে, মধুর দারুচিনি এর প্যাক বানিয়ে, মধু লেবুর রস মিশিয়ে, মধু হলুদের পেস্ট, মধু ও বেসনের প্যাক এমন নানা ঘরোয়া উপাদান মিলিত করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ব্রণ দূর করা সম্ভব। তবে অনেকের ক্ষেত্রে মধুতে এলার্জি সমস্যা রয়েছে  তাদের এগুলো ব্যাবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

শেষ কথাঃতৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে পুরো আর্টিকেল জুড়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ কিভাবে দূর করবেন। উপরিক্ত বর্ণিত যে সকল নিয়মগুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন এবং কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন তাহলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করা সম্ভব।

আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেল থেকে কাঙ্খিত বিষয়গুলি জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে  নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে আমদের ওয়েবসাইট টিকে ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url