কলমি শাকের আশ্চর্য স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা, ১৫টি তালিকা দেখুন
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকের ব্লগে বিস্তারিত জানতে
চলেছি। কলমি শাক খুব সহজলভ্য ও কম দামি শাক হওয়া সত্ত্বেও এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, যা আমদের শারীরিক অনেক উপকারে আসে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা কলমি শাকের বিভিন্ন উপকারী ও অপকারী গুনের সাথে বিশেষ ভাবে
পরিচিত হতে চলেছি। কলমি শাক খেলে অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
সম্ভব। তবে আর দেরি কেন, চলুন শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃকলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে কলমি শাকের অনেক গুনাগুন এবং
উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি এ সকল তথ্য জানার ইচ্ছা হয়। কলমি শাকের
ইংরেজিতে ওয়াটার স্পিনাচ (Water Spinach) বলা হয়। কলমি শাক বাংলাদেশের
জনপ্রিয় একটি শাক হিসেবে পরিচিত। প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধি শাকে
রয়েছে আমাদের শারীরিক পুষ্টির অভাব পূরণের অভাবনীয়
উপাদান। নিয়মিত কলমি শাক খেলে শরীরের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং
উপকারি উপাদান পাওয়া যায়।
কলমি শাকের কিছু উপকারিতা
- রক্তশূন্যতা দূর করে, আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে কলমি শাকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এই শাকের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
- কলমি শাকে উচ্চ মানের ফাইবার রয়েছে, যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- কলমি শাকির হয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
- কর্মী সাথে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে কলমি শাক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- কর্মী সাথে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপাদান হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- কলমি শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- কলমি শাকের পটাশিয়াম উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
- কলমি শাক খেলে হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী হয় এবং শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
-
কলমি শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক উপাদান, আমাদের ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে
সাহায্য করে।
-
লিভার পরিষ্কার করে এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করতে কলমি শাকের
কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে।
-
কর্মী সাথে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় এবং
ক্যান্সার থেকে মুক্তি দানে সাহায্য করে।
-
কলমি শাকে থাকা আইরন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে
তুলতে সাহায্য করে।
-
কলমি শাক পেটের আলসার প্রতিরোধ করে এবং পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে।
- কলমি শাকের পাতার পেস্ট করে টকে লাগালে বিভিন্ন ক্ষত ও প্রদাহ দূর হয়ে যায়।
কলমি শাকের কিছু অপকারিতা
- অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে পেটে গ্যাস, ব্যথা বা ডায়রিয়া সমস্যা হতে পারে।
- কোন বিষাকে অক্সলেট থাকে যা বেশি পরিমাণে খেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- কিছু মানুষের কলমি শাকে এলার্জি সমস্যা থাকে, তাই সেগুলো বুঝে কলমি শাক খেতে হবে।
- অনেক সময় কর্মী চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে না খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কলমি শাক কিছু ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের ওষুধের সাথে কলমি শাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে,।
- কলমি শাকের নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। বেশি পরিমাণে নাইট্রেট গ্রহণ করলে শিশুদের মধ্যে মেথেমোগ্লোবিনেমিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে, যা অক্সিজেনের পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে।
- কিছু গবেষণা দেখা গেছে কলমি শাকে ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক এবং ক্যাডমিয়াম থাকতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে এসব ভারী ধাতু শরীরের জমা হতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
- কলমি শাক সাধারণত পুকুর বা ডোবার মধ্যে জন্মায়, এসব জায়গায় পরজীবী থাকতে পারে, যা শাকের সাথে শরীরে প্রবেশ করলে পেটের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত
জানতে চলেছি। গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মা এবং গর্ভ অবস্থায় শিশু সুস্থতা নিশ্চিত
করার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এবং
মা এবং শিশু দুজনার সুস্থতার জন্য গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টিকর খাবার
গ্রহণ করে থাকেন। কলমি শাকে রয়েছে দেহের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করার
উপাদান, যা গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন
করে।
কলমি শাকের বেশ কিছু ব্যতিক্রম উপাদান রয়েছে। রক্ত শুন্যতা প্রতিরোধিক
কর্মী শাকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কলমি শাকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে
আয়রন এবং ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে। এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা
এবং গর্ভস্থ শিশুর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভের শিশুর সুস্থ
বিকাশের জন্য আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা কলমি শাক থেকে থেকে
প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
গর্ভকালীন সময়ে কুষ্টি কাঠিন্য এবং হজম হওয়ার সমস্যা একটি সাধারণ
বিষয়। গর্ব অবস্থায় পরিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয় এবং কুষ্টিকাঠিন্য
থেকে মুক্তি মেলাতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে
অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
রয়েছে, যা হজম শক্তি উন্নত করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে ব্যাপক ভূমিকা
রাখে। যায় একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য এবং তার গর্ভে শিশুর জন্য
স্বস্তিদায়ক এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় শিশু স্নায়ুতন্ত্রের গঠন বিকাশে কলমি শাকের অনেক গুরুত্ব
রয়েছে। কোন বিষয়কে রয়েছে "ফলেট" যা গর্ভে শিশুর মস্তিষ্ক এবং
স্পাইনাল কার্ডের গঠনকে স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য
করে। কলমি সাথে থাকা ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় ও চোখের গঠনে
ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর শারীরিক সুস্থতার জন্য কলমি শাক হতে
পারে একটি পুষ্টিকর খাদ্য উপাদানের ভালো একটি মাধ্যম।
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে এ সম্পর্কে এখন আমরা জানতে
চলেছি। পুষ্টিগুনে ভরপুর কলমি শাক হওয়া সত্বেও কিছু ক্ষেত্রে কিছু
মানুষের শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত কলমি শাক
খেলে এলার্জির সম্ভাবনা তেমন থাকে না। আমাদের শারীরিক কার্যক্রমের
উপর নির্ভর করে কলমি শাকের এলার্জির প্রতিক্রিয়া কেমন হবে।
শালিসাইলেটঃ কিছু মানুষের শরীরে এই উপাদানের কারনে এলার্জির
প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কলমি শাকে এই উপাদান প্রচুর পরিমাণে
রয়েছে। কলমি শাক খেয়ে যদি এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে
শালিসাইলেট উপাদান আপনার এলার্জির সৃষ্টির কারণ। তাই আপনার যদি
এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এর থেকে বিরত থাকতে হবে।
ল্যাটেক্সঃ কলমি সাথে থাকা এই উপাদান কিছু মানুষের ক্ষেত্রে
এলার্জি সৃষ্টি করে থাকে। আপনার যদি ল্যাটেক্স এলার্জি
থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার সকল দিক বিবেচনা করে কলমি শাক খেতে হবে। কারণ
অনেক মানুষেরই এই ধরনের এলার্জি থাকার কারণে কলমি শাকে এলার্জি সমস্যা দেখা
দিয়ে থাকে। তাই আপনাকে এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এন্টি অক্সিডেন্টঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও অক্সালেট নামক উপাদানের কারনে কিছু মানুষের শরীরের
এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কলমি শাক খেয়ে আপনার শরীরে এলার্জি
সমস্যা হলে ত্বকের চুলকানি বা ফুসকুড়ি, চোখ লাল ভাব বা পানি
পড়া, শ্বাসকষ্ট বা হাঁচি, পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া যন্ত্রের সমস্যা
দেখা দিতে পারে। তাই কলমি শাক খাওয়ার আগে কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জেনে এবং তাঁর সকল দিক বিবেচনা করে সাবধানতা অবলম্বন
করবেন।
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়ে
থাকে, এখন আমরা এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছি। বাংলাদেশের রান্নাঘরে
একটি পরিচিত সবুজ শাক হলো কলমি শাক। এই শাকের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের
কারণে অনেক মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি খাবার এই কলমি শাক অনেকে
জানতে চান কলমি শাক উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে কিনা। এ সম্পর্কে
চলুন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুনঃমধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে সোডিয়াম। যা আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত
সোডিয়াম বের করে দিয়ে শরীরকে নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। কলমি শাকে
পটাশিয়াম উপাদান রয়েছে, যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি
গবেষণায় দেখা গেছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
অনেকটা কমে যায়।
কলমি শাকে থাকা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিম্ন
রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এ বিষয়ে মনে রাখা
জরুরী, শুধুমাত্র কলমি শাক খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।তাই
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, চিকিৎসকের পরামর্শ এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত
থাকার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কলমি শাকের ১৫ টি উপকারিতা
কলমি শাকের ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে কলমি শাকের অনেক গুনাগুন
দেখা যাবে। এবং অনেকে এর উপকারিতা কি এ সকল তথ্য জানার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে।
কলমি শাকের ইংরেজিতে ওয়াটার স্পিনাচ (Water Spinach) বলা হয়। কলমি শাক
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি শাক হিসেবে পরিচিত। প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধি
শাকে রয়েছে আমাদের শারীরিক পুষ্টির অভাব পূরণের অভাবনীয় উপাদান। নিয়মিত কলমি
শাক খেলে শরীরের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং উপকারি উপাদান পাওয়া যায়।
চলুন কলমি শাকের ১৫ টি উপকারিতা জেনে নেইঃ
- রক্তশূন্যতা দূর করে, আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে কলমি শাকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এই শাকের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
- কলমি শাকে উচ্চ মানের ফাইবার রয়েছে, যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- কলমি শাকির হয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
- কর্মী সাথে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে কলমি শাক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- কর্মী সাথে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপাদান হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- কলমি শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- কলমি শাকের পটাশিয়াম উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
- কলমি শাক খেলে হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী হয় এবং শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- কলমি শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক উপাদান, আমাদের ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- লিভার পরিষ্কার করে এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করতে কলমি শাকের কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে।
- কর্মী সাথে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় এবং ক্যান্সার থেকে মুক্তি দানে সাহায্য করে।
- কলমি শাকে থাকা আইরন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- কলমি শাক পেটের আলসার প্রতিরোধ করে এবং পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কলমি শাকের পাতার পেস্ট করে টকে লাগালে বিভিন্ন ক্ষত ও প্রদাহ দূর হয়ে যায়।
কলমি শাকের ১০ টি অপকারিতা
কলমি শাকের ১০ টি অপকারিতা জানলে আপনি খুব সহজে এর অপকারী
দিকগুলো বর্জন করে উপকারী দিকগুলো গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারবেন। কলমি শাক
এটি সবুজ শাক হিসেবে বাংলার রান্নাঘরে এর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে এত
জনপ্রিয়তার মাঝেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে।অপকারী দিকগুলো জেনে সেগুলো থেকে
দূরে থেকে উপকারী দিকগুলো গ্রহণ করা উচিত। চলুন কলমি শাকের ১০ টি অপকারিতা
সম্পর্কে জেনে নেইঃ
- অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- কোন বিষাকে অক্সলেট থাকে যা বেশি পরিমাণে খেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- কিছু মানুষের কলমি শাকে এলার্জি সমস্যা থাকে, তাই সেগুলো বুঝে কলমি শাক খেতে হবে।
- অনেক সময় কর্মী চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে না খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কলমি শাক কিছু ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের ওষুধের সাথে কলমি শাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে,।
- কলমি শাকের নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। বেশি পরিমাণে নাইট্রেট গ্রহণ করলে শিশুদের মধ্যে মেথেমোগ্লোবিনেমিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে, যা অক্সিজেনের পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে।
- কিছু গবেষণা দেখা গেছে কলমি শাকে ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক এবং ক্যাডমিয়াম থাকতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে এসব ভারী ধাতু শরীরের জমা হতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
- কলমি শাক সাধারণত পুকুর বা ডোবার মধ্যে জন্মায়, এসব জায়গায় পরজীবী থাকতে পারে, যা শাকের সাথে শরীরে প্রবেশ করলে পেটের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অতিরিক্ত পরিমাণ কলমি শাক খেলে পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কলমি শাক খেলে কি ওজন বাড়ে
কলমি শাক খেলে কি ওজন বাড়ে এই প্রশ্নটি কলমি শাক খাওয়ার আগ মুহূর্তে
অনেকেই করে থাকে।প্রচুর পুষ্টি গুনে ভরপুর এই কলমি শাক খুব সহজলভ্য এবং কম
মূল্যে পাওয়া যায়। অনেকেই এই শার্ট কে সুস্বাদু খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন
আবার অনেকে পুষ্টিগুনের জন্য এই শাটকে পছন্দ করে থাকেন।আবার অনেকেই এসব কি
অপছন্দ করেন। তবে যাই হোক অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে কলমি শাক খেলে ওজন
বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখে কিনা। চলুন, এ বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেই।
কলমি শাকে খুবই কম মাত্রায় ক্যাডেট থাকে, সেই সাথে ফাইবার, ভিটামিন
এ এবং ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি
থাকে, যার নিয়মিত খেলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া
থেকে বিরত রাখতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ না করেন, সে
ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হবে না।কলমি শাকির যেহেতু ক্যালোরি কম থাকে
তা এটি খেলে ওজন বাড়েনা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুনঃআদার উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন আমরা বলতে পারি, কলমি শাক সরাসরি ওজন বাড়ে না বরং একটি ওজন কমাতে
সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি এই স্বাগ অতিরিক্ত তেলি ভেজে বা
অন্যান্য তেল বা ঘি দিয়ে রান্না করে খান, সে ক্ষেত্রে সেই রান্নার
তেল আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সিদ্ধ করে
কলমি শাক খেলে ভালো উপকার পাবেন। তাই বলা যায় কলমি শাক ওজন বাড়ায় না
বরং নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলতে গেলে, এর অনেক উপকারিতা এবং পুষ্টি
উপাদান থাকা সত্ত্বেও এর কিছু অপকারী বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আমরা
ইতিমধ্যে জেনেছি প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে। এই শাক আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমানে খান বা রান্নাই কোন সমস্যা হয়, সেই
ক্ষেত্রে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু মানুষ এর ক্ষেত্রে
ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। উপরিক্ত বিষই গুলো পড়ে থাকলে আপনি
নিশ্চয়ই সব কিছে জেনে গেছেন ইতিমধ্যে। তবুউ চুলুন এই সম্পর্কে আর কিছু তথ্য
জেনে নেইঃ
- অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- কোন বিষাকে অক্সলেট থাকে যা বেশি পরিমাণে খেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- কিছু মানুষের কলমি শাকে এলার্জি সমস্যা থাকে, তাই সেগুলো বুঝে কলমি শাক খেতে হবে।
- অনেক সময় কর্মী চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে না খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কলমি শাক কিছু ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের ওষুধের সাথে কলমি শাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে,।
- কলমি শাকের নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। বেশি পরিমাণে নাইট্রেট গ্রহণ করলে শিশুদের মধ্যে মেথেমোগ্লোবিনেমিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে, যা অক্সিজেনের পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে।
- কিছু গবেষণা দেখা গেছে কলমি শাকে ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক এবং ক্যাডমিয়াম থাকতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে এসব ভারী ধাতু শরীরের জমা হতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
- কলমি শাক সাধারণত পুকুর বা ডোবার মধ্যে জন্মায়, এসব জায়গায় পরজীবী থাকতে পারে, যা শাকের সাথে শরীরে প্রবেশ করলে পেটের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অতিরিক্ত পরিমাণ কলমি শাক খেলে পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান
কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান রয়েছে অনেক। এটি শরিলের অনেক রোগ থেকে রক্ষা
করতে সাহায্য করে থাকে। অতি উচ্চমানের খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান কলমি শাকে
রয়েছে। কলমি শাক কে অনেকে জল শাকও বলে থাকে। কম্লি শাক অনেক পুষ্টি গুনে ভরপুর
এবং সুসাদ্দু হওয়ার কারনে বাংলার রান্না ঘরে সবুজ শাক হিসাবে কলমি শাক অনেক
জুনপ্রিয়। কলমি শাকে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, চুলুন এর পুষ্টি উপাদান
সম্পর্কে জেনে নেওয়া জাকঃ
১০০ গ্রমা কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান
- অ্যানার্জি -- ১৮ ক্যালরি
- প্রোটিন -- ২.৬ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট -- ৩.১ গ্রাম
- ফ্যাট--০.২ গ্রাম
- ভিটামিন এ -- ৬৩০০ আই ইউ
- ভিটামিন সি -- ৫৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে -- ২৬০ মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন ই -- ১.৮ মিলিগ্রাম
- ফোলেট -- ৫৮ মাইক্রোগ্রাম
- ক্যালসিয়াম -- ৭৭ মিলিগ্রাম
- আয়রন -- ১.৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম -- ৪৩ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস -- ৩৪ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম -- ৩১২ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম -- ৪০ মিলিগ্রাম
- জিংক -- ০.২০ মিলিগ্রাম
শেষ কথাঃকলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা আলচনা করলাম এবং এটা
বুজতে পারলাম যে, কলমি শাক আমদের শরিলের জন্য অনেক উপকারি একটি শাক। এটি বাংলার
রান্না ঘরে স্বাদ এবং পুষ্টি গুনের জন্য জনপ্রিয়। এটি আমদের জন্য অনেক উপকারি
ভূমিকা পালন করে। যথেচ্ছা ব্যাবহারে এবং বেক্তি ভেদে কিছু সমস্যা দেখা দিয়ে
থাকে।
আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেল থেকে কাঙ্খিত বিষয়গুলি জানতে পেরেছেন। এতক্ষন
আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট করুন
এবং আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আপনি চাইলে আমদের ওয়েবসাইট টিকে ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url