গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি এটি স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি? গর্ভাবস্থায় শিশু স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে অধিক
প্রভাব ফেলে থাকে মায়ের স্বাস্থ্য।গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের সবজি খাবেন এবং কোন
ধরনের সবজি খাবেন না প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্ন অনেক দেখা যায় তাই এই সম্পর্কে
আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থায় সকল মায়েরা একটু অধিক চিন্তায় থাকেন তার সন্তানকে
নিয়ে, কোন চিনিস খাবেন? কোন জিনিস খাবেন না? এগুলো নিয়ে চিন্তিত থাকেন এটি
আসলে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়,এ বিষয়ে জেনে রাখা খুব জরুরী, একটি
গর্ভবতী মায়ের জন্য। তবে দেরি কেন, চলুন শুরু করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক
- শসাতে থাকা পুষ্টি উপাদান
- শসা কতটুকু খাওয়া উচিত জেনে নিন
- শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
- শসার বিকল্প খাবার হিসেবে কি খাবেন
- শসা খাওয়া নিয়ে সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি এটি অনেক গর্ভবতী মায়েরা জানতে চেয়ে থাকেন।
আপনার প্রশ্ন যদি এটা হয়ে থাকে, তাহলে উত্তরটা হবে হ্যাঁ খাওয়া যাবে। শসাতে
অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে , যায়টি গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা বহন করে। গর্ভবতী অবস্থা একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সময় এ সময়ে যতটা সম্ভব গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে
মা এবং সন্তান উভয় সুস্থ থাকার প্রবণতা বাড়ে।
গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত পুষ্টিকর খাবার, এবং
তার জানা উচিত কোন খাবার তার জন্য ভালো এবং কোন খাবার তার জন্য
ক্ষতিকর। এটি জানা থাকলে একজন মা সতর্কতা অবলম্বন করে পুষ্টি চাহিদাগুলো
পূরণ করে নিতে পারবেন। গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের তার খাবারের দিকে বেশি
নজর দিতে হয়। যে খাবারটি গর্ভাবস্থায় শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেই
খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে, এবং পুষ্টিকর খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে।
শসা একটি উপকারী খাবার গর্ভাবস্থায় তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত
নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছুই খাওয়া ঠিক নয় এতে করে উপকারের চেয়ে
ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত সোশাখেলে কারো কারো ক্ষেত্রে
কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন এলার্জিজনিত সমস্যা, এবং বদহজম আর ঘন ঘন
প্রস্রাব। তাই সকল খাবারের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া
উচিত। এবং এগুলো খাওয়ার সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়? এবং গর্ভাবস্থায় শোশা খাওয়া যাবে কি? এবং খেলেও
তার উপকার কি তার জন্য কি উপকারে আসবে গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের এমন হাজারো
প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। শসার অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান একটি গর্ভবতী
মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শসাতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন
কে, ভিটামিন বি, এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক এর
মত নানা পুষ্টি উপাদান। এটি গর্ব অবস্থায় গর্ভের শিশুকে সুস্থ রাখতে অনেক
ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় শসা খেলে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে অনেক গর্ভবতী মায়েদের শসা খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যা দেখা দেয় যেমন ধরুন
এলার্জি সমস্যা, ঘন ঘন প্রস্রাব, বদহজম এমন অনেক সমস্যা। অতিরিক্ত কোন
কিছুই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না তাই গর্ভাবস্থায় শসার অনেক উপকারিতা থাকলেও
অতিরিক্ত শসা খাওয়া উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে অধিক সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে
এটি খাওয়া পরিহার করতে হবে। আর আপনার যদি এটি খাওয়ার পর কোন সমস্যা না
দেখা দেয় তাহলে পরিমিত পরিমানে শসা অনায়াসে খেতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই
এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুণ সম্পর্কে জেনে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে শসা খাওয়া যাবে।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে, আজকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব।গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া শরীরের জন্য বীজ উপকারী হতে পারে কারণ এতে
হাইড্রেশন বজায় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।শসায় থাকা পটাশিয়াম
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হালকা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এগুলো
ছাড়া গর্ভাবস্থা শসা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে চলুন সে সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে। এতে থাকা উচ্চমানের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
- হাইড্রোজেন বজায় রাখেঃ সরি প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এটি শরীরের হাইড্রোজেন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- বমি বমি ভাব কমায়ঃ শসার হালকা স্বাদ ও পানিযুক্ত প্রকৃতি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- দেহের ফলা ভাব দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। আর এই শসা খাওয়ার ফলে শরীরের ফোলা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- হাড় মজবুত করেঃ শসাতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যার কারণে গর্ভ অবস্থায় শিশুর হার মজবুত এর সাহায্য করে।
- রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শসার কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। ।
- শরীরকে সতেজ এবং ক্লান্তিমুক্ত রাখেঃ শসাতে সাথে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরকে সতেজ এবং ক্লান্তিমুক্ত রাখতে সাহায্য করে, যা গর্ভ অবস্থায় অনেক প্রয়োজনীয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েরা ওজন বাড়ার আশঙ্কায় থাকে। শসাতে কম ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমানের ফাইবার থাকে যাতে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখে যার কারণে ক্ষুধা কমায় এবং ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমাদের সবার জানা
রাখা উচিত। শসা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।অতিরিক্ত শসা খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি
করতে পারে।শসাতে বিদ্যমান থাকা এনজাইম শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অস্থিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
চলুন গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
- অতিরিক্ত গ্যাস ও ফুলাভাবঃ শসায় প্রচুর পানি ও ফাইবার থাকে এটি বেশি খেলে পেটে গ্যাস জমতে পারে, যা অস্বস্তি সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
- ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতাঃ শসার প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এটির কারণে এটি খাওয়া ফলে ঘনঘন প্রস্তাবের প্রবণতা বাড়তে পারে।
- হজমের সমস্যাঃ কিছু গর্ভবতী নারী শরীরের শসার কিছু যৌগ হজম করতে পারে না, ফলে পেট ব্যথা বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এলার্জি ঝুঁকিঃ তো মানুষের ক্ষেত্রে শসা খাওয়াতে চুলকানি এলার্জি সমস্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
- বিষাক্ত রাসায়নিকের ঝুঁকিঃ অনেক ক্ষেত্রে সোসাই কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা ভালোভাবে ধোয়া না হলে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ থাকতে হলে গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি না এবং
খেলেও বা তার উপকারিতা কি এবং ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি সকল কিছু বিবেচনা করে শসা
খাওয়া উচিত। আপনার যদি শসা খাওয়াতে কোন সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে
পরিমিত পরিমাণে শসা খেতে পারেন। এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তারপরে
খাওয়া উচিত, যদি কোন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয় তাহলে ডাক্তারের পরামশন
নেয়া উচিত।
শসাতে থাকা পুষ্টি উপাদান
শসার পুষ্টি উপাদান অনেক রয়েছে, আমরা অনেকটাই জানি আবার অনেক কিছুই অজানায় রয়ে
গেছে, আজকে আমরা শসার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানব। শসা একটি পুষ্টিকর সবজি যা
শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এবং গর্ব অবস্থায় শসা খাওয়া অনেক উপকারে আসে, এটি
প্রায় ৯৫% পানি সমৃদ্ধ এবং ক্যালরি ক্যালোরি কম থাকে যা ওজন কমানোর সহায়ক
ভূমিকা পালন করে। আমাদের শসা খাওয়ার আগে শসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে রাখা
উচিত। চলুন শসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম শসার পুষ্টি উপাদান
- ক্যালোরি - ১৫ ক্যালোরি
- পানি - ৯৫%
- কার্বোহাইড্রেট - ৩.৬ গ্রাম
- প্রোটিন - ০.৬ গ্রাম
- ফাইভার - ০.৫ গ্রাম
- চিনি - ১.৭ গ্রাম
- ফ্যাট - ০.১ গ্রাম
শসাতে বিদ্যমান ভিটামিন ও খনিজ
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ফাইবার
- ফলিক এসিড
- আয়রন
- জিংক
- পটাশিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- ভিটামিন - কে
- ভিটামিন বি-৬
- ভিটামিন বি- ৯
- ভিটামিন সি
- খনিজ
- রিবোফ্লাভিন
শসা কতটুকু খাওয়া উচিত জেনে নিন
শসা কতটুকু খাওয়া উচিত জেনে নিন এতে করে আপনার শসা খাওয়াতে সুবিধা
হবে। এবং গর্ভবতী অবস্থায় কতটুকু শসা খাবেন সেটি আপনি খুব সহজে জানতে
পারবেন। গর্ব অবস্থায় সকল খাবার সঠিক পরিমাণে খেতে হয়। অতিরিক্ত
খেয়ে ফেললে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং পরিমাণের তুলনায় কম খেলে
নানা পুষ্টি ঘাটতি দেখা দেয়, তাই এর সঠিক পরিমাপ চিনে রাখা উচিত।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ১-২ কাপ পরিমান শসা খাওয়া নিরাপদ। তবে এটি
অবশ্যই আপনার শরীরের চাহিদা এবং খাওয়ার পর প্রতিজ্ঞা গুলো সৃষ্টি হচ্ছে সেটি
অনুসরণ করে খেতে হবে। শসার অনেক উপকারী গুণ থাকা সত্ত্বেও এটি অতিরিক্ত
খেয়ে ফেললে কিছু অসুবিধা দেখা দেয়। একটু খাবার ফলে গ্যাস, পেট ফোলা
ভাব এবং ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শসা খাওয়ার আগে
অবশ্যই এগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় খাবারের
জটিলতার কারণে দেখা দিতে পারে নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই সকল
খাবারের শরীর যতটুকু গ্রহণ করতে সক্ষম ততটুকু খেতে হবে।অতিরিক্ত পরিমাণে কিছু
খাওয়া যাবে না, যদি কোন রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।কারণ এই সময় ছোট ছোট সমস্যা থেকে
অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি গর্ভে থাকা শিশুর
স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই এ সকল বিষয় খেয়াল
রাখতে হবে।
শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন নইলে আপনাকে অনেক বিপাকে পড়তে হতে
পারে। শসা খাওয়ার জন্য সঠিক কিছু নিয়ম রয়েছে, এই নিয়ম গুলো না
মানলে হতে পারে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার
আগে কিছু সতর্কতা জেনে নেওয়া উচিত। শসা খাওয়ার আগে অবশ্যই সসা ভালোভাবে
ধুয়ে নিতে হবে। শসা খেলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের কঠিন সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারে।
তাই অবশ্যই শসা খাওয়ার আগে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খালি
পেটে শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে গ্যাস বা অম্বলের মত সমস্যা হতে
পারে। খাওয়ার আগে বা পরে বেশি পানি খাওয়া যাবে না। রাতে বেশি
পরিমাণে শসা খাওয়া যাবেনা এতে ঠান্ডা লাগতে পারে বা বদহজমের সমস্যা হতে
পারে। শসা খাওয়ার সময় আমরা অনেকেই লবণ ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এটি
অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা যাবে না, কারণ লবণ বেশি পরিমাণে খেলে নানা ধরনের
স্বাস্থ্য শক্তি দেখা দিতে পারে।
শসা খাওয়ার সঙ্গে অন্যান্য খাবারের ভারসাম্য রাখুন, শসার সাথে প্রোটিন ও
অন্যান্য সবজি খেলে পুষ্টির ভারসাম্য সঠিক থাকে। আপনি চাইলে
টমেটো, গাজর, লেবুর রস ও একটু বিট লবণ দিয়ে সালাদ বানিয়ে খেতে
পারেন। এবং তার সাথে পানিতে শসা, লেবু ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে
রাখে খেতে পারেন। এমনকি দোয়ের সাথে শসা মিশিয়ে খেতে পারেন এতে হজম
ভালো হয়।
শসার বিকল্প খাবার হিসেবে কি খাবেন
শসার বিকল্প খাবার হিসেবে কি খাবেন এটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনার
জন্য শসাতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো সহজে গ্রহণ করা সম্ভব হবে। অনেকের
ক্ষেত্রে শসা খাওয়ার পর বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যদি শসা খাওয়ার পর
কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি এরপুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য বিকল্প
খাবারগুলো বেছে নিতে পারেন। যেমন ধরুন লাউ, জলপাই, লেটুস
পাতা, জুকিনি, কাঁচা
পেঁপে, টমেটো, গাজর, তরমুজ, ডাবের পানি ইত্যাদি খাবার
গুলো খেয়ে শসার পুষ্টি উপাদান গুলো পূরণ করে নিতে পারেন।
শসা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি যা আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টি চাহিদা পূরণ
করে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে শসা খাওয়াতে কিছু বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে
পারে। যেমন ধরুন এলার্জি, পেট ফাঁপা ও গ্যাস, ঠান্ডা লাগাবা
সর্দি, ব্লাড প্রেসার কমতে পারে এমন আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।আপনার
যদি শসার বিকল্প খাবার জানা থাকে তাহলে সমস্যাগুলো তুলতে পারবেন। তাই আপনি
শসা খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করেন তাহলে শসা খাওয়ার
পরিবর্তে আপনি উপর একটু খাবার গুলো খেয়ে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে
পারেন।
শসা খাওয়া নিয়ে সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা
শসা খাওয়া নিয়ে সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা জেনে রাখা
জরুরী। শসা খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে তার
অধিকাংশই মিথ্যা। অনেকে মনে করে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় শোষা খেলে পেটের
বাচ্চার ঠান্ডা লাগার সমস্যা সৃষ্টি হয়, এটির কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ নেই।তবে
অতিরিক্ত কোন কিছু ক্ষয় ভালো নয় তাই পরিমিত পরিমাণে শসা খেতে হবে।
আমাদের সমাজে এমন কথা প্রচলিত আছে যে গর্ব অবস্থায় যদি মায়েরা শসা খায় তাহলে
ঠান্ডা সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং গর্ভে থাকা শিশু জন্মের পর তারও ঠান্ডা লাগা
সমস্যা সৃষ্টি হবে এটি পুরোপুরি ভ্রান্ত একটি ধারণা। তাই শরীর ঠিক রাখতে
এবং গর্ভে থাকা শিশু শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পরিমাণ শসা খাওয়া
উচিত। তবে এই শসা খাওয়াটা যেন অতিরিক্ত পরিমাণে না হয়ে যায় তাহলে এতে
সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি? কি সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেল অনেক কিছু
জেনেছি। গর্ব অবস্থায় শসা খাওয়া নিরাপদ তবে এটি সঠিক পরিমাণে খেতে
হবে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের অবস্থা বুঝে এবং শসা খাওয়ার পর
প্রতিক্রিয়া দেখে শসা খেতে হবে। এবং শসা খাওয়ার পরে যদি কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে গর্ভবতী
মা এবং সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকবে।
আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেল থেকে কাঙ্খিত বিষয়গুলি জানতে পেরেছেন। এতক্ষন
আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট
করুন এবং আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে
ভুলবেন না। আপনি চাইলে আমদের ওয়েবসাইট টিকে ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url