মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো বিবিএ মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।আপনি নিশ্চয়ই মার্কেটিং বিষয়ে ভাইবা প্রশ্ন উত্তর নিয়ে চিন্তিত, তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন কারণ আজকে আর্টিকেলে আমরা মার্কেটিং এর ভাইবা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। 
মার্কেটিং-এর-ভাইভা-প্রশ্ন-ও-উত্তর
মার্কেটিং ভাইবা প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বেশি করা হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদেরকে মার্কেটিং ভাইবা বিষয়ে বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন সম্পর্কে এবং কিছু বর্ণনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে যারা মার্কেটিং বিভাগে পড়াশোনা করে তাদের জন্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারন আপনি প্রশ্নগুলি যদি না পড়ে মার্কেটিং ভাইভা বোর্ডে যান তাহলে বিভ্রান্ততে পড়বেন। আপনি যদি মার্কেটিং এর এই বেসিক প্রশ্নগুলো না পড়েন তাহলে অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন। মার্কেটিং ভাইভা প্রশ্ন উত্তর পর্বে সাধারণত স্যারেরা ৮ থেকে ১০ টি প্রশ্ন করে থাকে। যেগুলো সঠিক উত্তর দিতে পারলে আপনি ভাইভাতে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। 

আজকে আর্টিকেলে আমি বেশ কিছু মার্কেটিং ভাইবা প্রশ্ন আসার মত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং কিছু বর্ণনামূলক প্রশ্ন সম্পর্কে আলোচনা করব। যে সকল প্রশ্নগুলো আপনি যদি পড়ে যেতে পারেন তাহলে ভালো একটি ফল আশা করতে পারেন। আশা করা যায় আপনি যদি আমার দেওয়া সকল প্রশ্নগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে যান তাহলে ৮০ থেকে ৯০% প্রশ্ন কমন পাবেন ইনশাল্লাহ। 
মার্কেটিং ভাইভার প্রশ্নগুলো একটু কঠিন হয়ে থাকে যা অনেক ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুব ভয় কারো হয়ে দাঁড়ায়। আসলে মার্কেটিং প্রশ্নগুলো মুখস্থ করার বিষয় নয় এগুলো অনেক সংক্ষিপ্তভাবে বুঝে পড়তে হবে তাহলে এ প্রশ্নগুলো সহজে মনে রাখা সম্ভব হবে। আজকে আমি আপনাদের মার্কেটিং ভাইবাতে আসার মত বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং কিছু বর্ণনামূলক প্রশ্ন ৪টি স্টেপে আপনাদেরকে সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব। তবে আর দেরি কেন চলুন শুরু করা যাক।

প্রথম ২০টি মার্কেটিং সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রথম ২০টি মার্কেটিং সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আপনার যদি সঠিক ধারণা থাকে তাহলে মার্কেটিং ভাইবা প্রশ্ন উত্তরে আপনি কিছুটা এগিয়ে থাকবেন। মার্কেটিং সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্নগুলো সাধারণত বইতে পড়ে আয়ত্ত করা একটু কঠিন। কারণ বইয়ের ভাষাগুলো মুখস্থ করতে গেলে বুঝতে অসুবিধা হয়। সাধারণত মার্কেটিং বিষয়ক প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হয় তাহলে সহজে মনে থাকে। তাই আমি আপনাদেরকে মার্কেটিং বিষয়ে ২০টি প্রশ্ন সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব। তবে আর দেরি কেন চলুন শুরু করা যাক।

১) মার্কেটিং বা বাজারজাতকরন শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উত্তরঃ "মার্কেটিং" বা "বাজারজাতকরণ" শব্দটি ইংরেজি শব্দ "Marketing" থেকে এসেছে।  

"Market" শব্দের অর্থ হলো বাজার, আর "Marketing" বলতে বোঝায় বাজারের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রম, যেমন — পণ্য বা সেবা প্রচার, ক্রেতাদের আকর্ষণ, বিক্রয় বৃদ্ধি ইত্যাদি।  

বাংলায় "বাজারজাতকরণ" বলতে বোঝায় কোনো পণ্য বা সেবাকে বাজারে উপস্থাপন ও প্রচারের প্রক্রিয়া, যাতে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায় ও বিক্রি হয়।

২) বাজার বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বাজার বলতে সেই স্থান বা ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পণ্য, সেবা বা সম্পদের লেনদেন হয়। এটি ভৌত বা অনলাইন — দুইভাবেই হতে পারে, যেখানে চাহিদা ও জোগানের ওপর মূল্য নির্ভর করে।

৩) Marketing বা বাজারজাতকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ Marketing বা বাজারজাতকরণ হলো কোনো পণ্য বা সেবাকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রচার, মূল্য নির্ধারণ, পরিবহন ও বিক্রয় প্রক্রিয়া পরিচালনা করা। এর মূল লক্ষ্য হলো ক্রেতার চাহিদা বুঝে সঠিকভাবে পণ্য বা সেবা উপস্থাপন করা।

৪) চাহিদা কাকে বলে?
উত্তরঃ চাহিদা হলো কোনো নির্দিষ্ট মূল্য পর্যায়ে ক্রেতার পক্ষে পণ্য বা সেবা কেনার ইচ্ছা ও সক্ষমতা। অর্থাৎ, ক্রেতার কেনার আগ্রহ ও সামর্থ্য একসঙ্গে থাকলে তা চাহিদা হিসেবে বিবেচিত হয়।

৫) অভাব কাকে বলে?
উত্তরঃ উত্তরঃ অভাব হলো মানুষের অসীম চাহিদার তুলনায় সম্পদ বা উপকরণের স্বল্পতা। যখন কোনো প্রয়োজনীয় বস্তু বা সেবা পাওয়া যায় না, বা পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে না, তখন তাকে অভাব বলা হয়।
৬) PRM এর পরিপূর্ণ রূপ কি?
উত্তরঃ PRM এর পরিপূর্ণ রূপ হলো — Partner Relationship Management।  
এটি ব্যবসায়ের অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিচালনার প্রক্রিয়া, যা পারস্পরিক লাভ ও দীর্ঘমেয়াদি সফলতার ওপর গুরুত্ব দেয়।

৭) ফিলিপ কটলারের মতে মার্কেটিং এর সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ ফিলিপ কটলারের মতে, মার্কেটিং হলো —
“ক্রেতার চাহিদা বুঝে তাদের জন্য মূল্যবান পণ্য বা সেবা তৈরি করা এবং তা বিনিময়ের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করার প্রক্রিয়া।”

৮) বাট্টা কাকে বলে?
উত্তরঃ বাট্টা হলো পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের ওপর দেওয়া বিশেষ মূল্যছাড় বা ডিসকাউন্ট। এটি সাধারণত ক্রেতা আকর্ষণ, বিক্রি বাড়ানো বা দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরির জন্য দেওয়া হয়।

৯) বিক্রয় মতবাদের মূল ফোকাস কি?
উত্তরঃ বিক্রয় মতবাদের মূল ফোকাস হলো — পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিক্রি বাড়ানোর জন্য জোরালো বিক্রয় কৌশল ও বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা। এতে ধারণা করা হয়, ক্রেতারা নিজে থেকে সহজে কিনবে না, তাই তাদের প্রভাবিত করতে হবে।

১০) বাজারজাতকরণ মতবাদের মূল ফোকাস কি?
উত্তরঃ বাজারজাতকরণ মতবাদের মূল ফোকাস হলো — ক্রেতার চাহিদা ও চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে, তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করা। এতে ক্রেতার চাহিদাকে প্রথমে রাখা হয়, তারপর পণ্য বা সেবা তৈরি করা হয়।

১১) CRM এর পরিপূর্ণ রূপ কি?
উত্তরঃ CRM এর পরিপূর্ণ রূপ হলো —Customer Relationship Management।  
এটি গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত কৌশল ও প্রযুক্তির সমষ্টি।

১২) মার্কেটিং এর জনক কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ ফিলিপ কটলারকে মার্কেটিং-এর জনক বলা হয়। তিনি আধুনিক মার্কেটিং ধারণা ও কৌশলগুলোর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

১৩) SWOT কি?
উত্তরঃ SWOT হলো একটি বিশ্লেষণ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়।  

SWOT এর পূর্ণরূপ:  
  • S — Strengths (শক্তিশালী দিক)  
  • W — Weaknesses (দুর্বল দিক)  
  • O — Opportunities (সুযোগ)  
  • T — Threats (ঝুঁকি)  
এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কৌশল নির্ধারণে সহায়ক।

১৪) 7P’s কি?
উত্তরঃ 7P’s হলো মার্কেটিং মিশ্রণের (Marketing Mix) গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পণ্য বা সেবা বাজারজাতকরণের কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করে।
  • 7P’s এর উপাদানগুলো হলো:
  • Product (পণ্য): কী বিক্রি করা হচ্ছে।
  • Price (মূল্য): মূল্য নির্ধারণ কৌশল।
  • Place (স্থান): কোথায় ও কীভাবে পণ্য বিতরণ হবে।
  • Promotion (প্রচার): পণ্য প্রচারের পদ্ধতি।
  • People (মানুষ): যারা পণ্য বা সেবা প্রদান করে।
  • Process (প্রক্রিয়া): সেবাপ্রদান বা লেনদেনের ধাপগুলো।
  • Physical Evidence (ভৌত প্রমাণ): গ্রাহকের কাছে দৃশ্যমান প্রমাণ, যেমন — ব্র্যান্ডিং, পরিবেশ বা প্যাকেজিং।
এটি মূলত পরিষেবা বিপণনে বেশি ব্যবহৃত হয়।

১৫) IMC এর পরিপূর্ণ রূপ কি?
উত্তরঃ IMC এর পরিপূর্ণ রূপ হলো — Integrated Marketing Communication।

এটি বিভিন্ন বিপণন ও যোগাযোগ মাধ্যমকে একত্রে ব্যবহার করে গ্রাহকের কাছে পরিষ্কার, সুসংগত ও প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছানোর কৌশল।

১৬) SAFTA এর পরিপূর্ণ রূপ কি?
উত্তরঃ SAFTA এর পরিপূর্ণ রূপ হলো — South Asian Free Trade Area।

এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যার লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য বাধা কমিয়ে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করা।
১৭) Theory X এবং Theory Y তত্ত্ব কে প্রদান করেছেন?
উত্তরঃ Theory X এবং Theory Y তত্ত্বটি প্রদান করেছেন — Douglas McGregor (ডগলাস ম্যাকগ্রেগর)।  

তিনি ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের আচরণ সম্পর্কে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন:  
Theory X: মনে করে মানুষ কাজ এড়াতে চায়, তাই কড়া নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তির প্রয়োজন।  
Theory Y: মনে করে মানুষ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে চায়, সঠিক পরিবেশে দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হয়।

১৮) Break Even Point (BEP) এর অন্য নাম কি?
উত্তরঃ Break Even Point (BEP) এর অন্য নাম হলো — লাভ-ক্ষতির সীমা বা সমলগ্ন বিন্দু।  

এটি সেই পর্যায়, যেখানে ব্যবসার মোট আয় ও মোট খরচ সমান হয়ে যায়, অর্থাৎ না লাভ, না ক্ষতি হয়।

১৯) Break Even Point (BEP) বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ Break Even Point (BEP) হলো সেই পর্যায়, যেখানে কোনো ব্যবসার মোট আয় এবং মোট খরচ সমান হয়ে যায়।  

এই পর্যায়ে ব্যবসা না লাভ, না ক্ষতি অবস্থায় থাকে। এর পর থেকে বিক্রি বাড়লে লাভ হতে শুরু করে, আর কম হলে ক্ষতি হয়।

২০) ফ্যাড কাকে বলে?
উত্তরঃ ফ্যাড (Fad) হলো স্বল্প সময়ের জন্য হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কোনো প্রবণতা, পণ্য, বা ধারণা, যা দ্রুত মানুষের আগ্রহ তৈরি করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই হারিয়ে যায়।  

উদাহরণ: কোনো বিশেষ পোশাকের স্টাইল, ভাইরাল চ্যালেঞ্জ, বা খেলনা।

দ্বিতীয় ২০টি মার্কেটিং সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর 

১) ডাম্পিং কাকে বলে?
উত্তরঃ ডাম্পিং (Dumping) হলো বিদেশি বাজারে কোনো পণ্যকে অভ্যন্তরীণ বাজারের তুলনায় কম দামে বিক্রি করা।  

এর উদ্দেশ্য হলো প্রতিযোগীদের বাজার থেকে সরিয়ে দিয়ে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা বা অতিরিক্ত পণ্য দ্রুত বিক্রি করে দেওয়া।

২) কে সর্বপ্রথম মার্কেটিং মিক্স পরিভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তরঃ নীল বোর্ডেন (Neil Borden) সর্বপ্রথম মার্কেটিং মিক্স পরিভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকে এই ধারণাটি জনপ্রিয় করেন।

৩) চাহিদা সোপান তত্ত্ব কে প্রদান করেছেন?
উত্তরঃ চাহিদা সোপান তত্ত্ব প্রদান করেছেন — এব্রাহাম মাসলো (Abraham Maslow)।  

তিনি মানুষের চাহিদাকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে একটি ক্রমানুসার তৈরি করেন, যা Maslow's Hierarchy of Needs নামে পরিচিত।

৪) ট্রেডমার্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ ট্রেডমার্ক হলো একটি বিশেষ চিহ্ন, নাম, লোগো, শব্দ বা বাক্যাংশ, যা কোনো প্রতিষ্ঠান তার পণ্য বা সেবাকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে ব্যবহার করে।  

এটি আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, যাতে অন্য কেউ তা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে না পারে।

৫) ব্র্যান্ড কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্র্যান্ড হলো একটি নাম, প্রতীক, নকশা বা পরিচিতিমূলক চিহ্ন, যা কোনো প্রতিষ্ঠান, পণ্য বা সেবাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।  

এটি গ্রাহকের মনে নির্দিষ্ট ধারণা ও বিশ্বাস তৈরি করে, যা পণ্যের মান ও পরিচয়কে প্রকাশ করে।

৬) ক্রেতা কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্রেতা হলো সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যারা নিজেদের প্রয়োজন বা চাহিদা মেটানোর জন্য পণ্য বা সেবা কেনে।  

ক্রেতা সরাসরি ব্যবহার করতে পারে বা অন্যের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যেও কিনতে পারে।

৭) ভোক্তা কাকে বলে?
উত্তরঃ ভোক্তা হলো সেই ব্যক্তি, যে কোনো পণ্য বা সেবা নিজের ব্যবহারের জন্য ক্রয় করে বা ব্যবহার করে। ভোক্তা সাধারণত শেষ ব্যবহারকারী, অর্থাৎ সে অন্যের কাছে বিক্রির জন্য নয়, নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পণ্য ব্যবহার করে।
৮) ক্রেতা ও ভোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ক্রেতা হলো সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যারা পণ্য বা সেবা কেনে, কিন্তু তা নিজের জন্য নাও হতে পারে। অন্যদিকে, ভোক্তা হলো সেই ব্যক্তি, যে পণ্য বা সেবা নিজে ব্যবহার করে।  

উদাহরণ: বাবা যদি সন্তানের জন্য খেলনা কেনেন, তবে বাবা ক্রেতা আর সন্তান ভোক্তা।
দ্বিতীয়-২০টি-মার্কেটিং-সম্পর্কিত-ভাইভা-প্রশ্ন-ও-উত্তর
৯) প্রয়োজন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রয়োজন হলো মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যা অপরিহার্য, সেই জিনিস বা সেবার চাহিদা।  

উদাহরণ: খাদ্য, পানি, বাসস্থান, পোশাক ইত্যাদি।

১০) মার্কেট অফারিং কাকে বলে?
উত্তরঃ মার্কেট অফারিং হলো বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের জন্য দেওয়া পণ্য, সেবা, তথ্য বা অভিজ্ঞতার সমষ্টি।  

উদাহরণ: মোবাইল ফোন বিক্রি, ইন্টারনেট সেবা, কিংবা ছাড়ের অফার — এসবই মার্কেট অফারিং।

১১) পণ্য বা Products কাকে বলে?
উত্তরঃ পণ্য বা Product হলো কোনো বস্তু, সেবা বা ধারণা, যা মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বাজারে দেওয়া হয়।  

এটি দৃশ্যমান (যেমন: মোবাইল, জামা) বা অদৃশ্য সেবা (যেমন: ব্যাংকিং, ইন্টারনেট) — দুটোই হতে পারে।

১২) সেবা বা Services কাকে বলে?
উত্তরঃ সেবা বা Services হলো এমন অদৃশ্য কার্যক্রম বা সুবিধা, যা একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যকে প্রদান করে, যা গ্রহণকারীকে উপকার বা সন্তুষ্টি দেয়।  

উদাহরণ: চিকিৎসা পরামর্শ, ব্যাংকিং, পরিবহন, হোটেল পরিষেবা ইত্যাদি।

১৩) অভিজ্ঞতা বা এক্সপেরিয়েন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ অভিজ্ঞতা বা এক্সপেরিয়েন্স হলো কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহার করার সময় বা পরে গ্রাহকের অনুভূতি, উপলব্ধি ও প্রতিক্রিয়ার সমষ্টি।  

উদাহরণ: কোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় খাবারের স্বাদ, পরিবেশ ও পরিষেবা থেকে পাওয়া সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি।

১৪) ক্রেতা ভ্যালু বা কাস্টমার ভ্যালু কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্রেতা ভ্যালু বা কাস্টমার ভ্যালু হলো কোনো পণ্য বা সেবা থেকে ক্রেতা যে সুবিধা বা উপকার পায়, তা পাওয়ার জন্য যে মূল্য দেয়, তার মধ্যে পার্থক্য।  

সহজভাবে, ক্রেতা যদি মনে করে দেওয়া মূল্যের চেয়ে পাওয়া সুবিধা বেশি, তবে তা উচ্চ ক্রেতা ভ্যালু তৈরি করে।

১৫) ক্রেতা ভ্যালুর একটা উদাহরণ দিন?
উত্তরঃ ধরুন, কেউ ১,০০০ টাকা দিয়ে একটা হেডফোন কিনল, যা দারুণ শব্দ মান, আরামদায়ক ডিজাইন এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ দেয়।  

এখানে ক্রেতা মনে করছে, দাম অনুযায়ী সুবিধাগুলো বেশ ভালো — এটাই ক্রেতা ভ্যালু।

১৬) ক্রেতা সন্তুষ্টি বা Customer Satisfaction কাকে বলে?
উত্তরঃক্রেতা সন্তুষ্টি বা Customer Satisfaction হলো কোনো পণ্য বা সেবা থেকে ক্রেতার প্রত্যাশা এবং বাস্তবে পাওয়া অভিজ্ঞতার মধ্যে মিল হলে যে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়, তাকে বোঝায়।  

যদি পণ্য প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়, ক্রেতা সন্তুষ্ট হয়; আর খারাপ হলে অসন্তুষ্ট হয়।

১৭) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার কাকে বলে?
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার হলো সেই বাজার, যেখানে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে, এবং সবাই স্বাধীনভাবে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। এখানে সব পণ্যের দাম চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

১৮) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা বাস্তবে রয়েছে?
উত্তরঃপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা বাস্তবে পুরোপুরি দেখা যায় না। এটি মূলত একটি তাত্ত্বিক ধারণা, যেখানে নিখুঁত প্রতিযোগিতা থাকে। বাস্তবে কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা বা বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকে, যেমন — বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব, সরকারি নিয়ন্ত্রণ, বা তথ্যের অসমতা।

১৯) শেয়ার বাজার কাকে বলে? 
উত্তরঃ শেয়ার বাজার হলো একটি বাজার, যেখানে কোম্পানির মালিকানার অংশ বা শেয়ার কেনাবেচা করা হয়। বিনিয়োগকারীরা এখানে শেয়ার কিনে কোম্পানির অংশীদার হয় এবং লাভ বা ক্ষতি ভাগ করে নেয়। এটি মূলত কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মূলধন সংগ্রহ ও বিনিয়োগের একটি মাধ্যম।

২০) উপকরণ বাজার কাকে বলে?
উত্তরঃ উপকরণ বাজার হলো সেই বাজার, যেখানে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহারের জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং অন্যান্য উপকরণ কেনাবেচা করা হয়। এটি মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেন তারা চূড়ান্ত পণ্য বা সেবা তৈরি করতে পারে।

তৃতীয় ১০টি মার্কেটিং সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর 

১) উৎপাদনের উপকরণ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ উৎপাদনের উপকরণ মূলত চারটি। এগুলো হলো:  
  • ভূমি (Land): প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন — জমি, পানি, খনিজ।  
  • শ্রম (Labor): কাজ করার জন্য মানুষের শারীরিক ও মানসিক শ্রম।  
  • মূলধন (Capital): উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, ভবন ও অর্থ।  
  • উদ্যোক্তা (Entrepreneur): ব্যবসার ঝুঁকি নিয়ে পরিকল্পনা ও পরিচালনা করার ক্ষমতা।
২) ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিপণন করার প্রক্রিয়া।  

এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওয়েবসাইট, ইমেইল, সার্চ ইঞ্জিন ও অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয়।

৩) বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  
  • বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজে পৌঁছানো যায়।  
  • কম খরচে কার্যকর প্রচার সম্ভব।  
  • লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সঠিক গ্রাহক চিহ্নিত করা যায়।  
  • গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া দ্রুত জানা ও সম্পর্ক বজায় রাখা যায়।  
  • প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) ডিজিটাল মার্কেটিং এ খরচ বেশি না কম?
উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে খরচ তুলনামূলক কম, কারণ এখানে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী প্রচার চালাতে পারেন।  

টিভি, পত্রিকা বা বিলবোর্ডের মতো প্রচার মাধ্যমের চেয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কম খরচে নির্দিষ্ট গ্রাহকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো যায়, আর ফলাফলও সহজে পরিমাপ করা সম্ভব।

৫) বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসের নাম কি?
উত্তরঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলো আমাজন (Amazon)।  

৬) পুশ মার্কেটিং কাকে বলে?
উত্তরঃ পুশ মার্কেটিং হলো এমন একটি কৌশল, যেখানে পণ্য সরাসরি ক্রেতার সামনে তুলে ধরা হয়, যেন তারা তা কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়।  

উদাহরণ: দোকানে বিক্রেতার পণ্য দেখিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা, ইমেইল পাঠিয়ে অফার জানানো, বা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কেনার প্রলোভন তৈরি করা।

৭) ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্স এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্সের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো —  
  • ব্যাংক: টাকা জমা রাখা, ঋণ দেওয়া ও আর্থিক লেনদেনের সেবা দেয়।  
  • ইন্সুরেন্স: নির্দিষ্ট ঝুঁকি (যেমন: মৃত্যু, দুর্ঘটনা, সম্পত্তির ক্ষতি) মোকাবিলায় অর্থিক সুরক্ষা দেয়, বিনিময়ে গ্রাহককে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়।
৮) বাজার বিশ্লেষণ কাকে বলে?
উত্তরঃ বাজার বিশ্লেষণ হলো কোনো বাজারের বর্তমান অবস্থা, চাহিদা, প্রতিযোগী, গ্রাহকের পছন্দ ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়া।  

এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বাজারে সফল হওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে পারে।

৯) কৌশলগত বাজারজাতকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যেখানে গ্রাহকের চাহিদা, বাজারের অবস্থা ও প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করে পণ্য বা সেবার জন্য সঠিক লক্ষ্যবাজার নির্ধারণ করা হয়।  

এর উদ্দেশ্য হলো ব্যবসার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যকরী বিপণন কৌশল তৈরি করা।

১০) মার্কেটিং কত ধরনের হতে পারে?
উত্তরঃ মার্কেটিং মূলত বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, তবে প্রধান কয়েকটি ধরন হলো —  
  • পণ্য ভিত্তিক মার্কেটিং (Product Marketing)  
  • সেবা ভিত্তিক মার্কেটিং (Service Marketing)  
  • ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)  
  • সরাসরি মার্কেটিং (Direct Marketing)  
  • সম্পর্কমূলক মার্কেটিং (Relationship Marketing)  
  • সামাজিক মার্কেটিং (Social Marketing)  
  • আন্তর্জাতিক মার্কেটিং (International Marketing)  
প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও নানা ধরনের মার্কেটিং দেখা যায়।

মার্কেটিং সম্পর্কিত ৫টি  বর্ণনামূলক ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: মার্কেটিং ব্যবসার সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গ্রাহকের চাহিদা ও বাজারের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে। সঠিক বিপণন কৌশলের মাধ্যমে ব্যবসা তার পণ্য বা সেবাকে লক্ষ্যমাত্রার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে, ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে পারে এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে।

প্রশ্ন ২: লক্ষ্যবাজার (Target Market) কাকে বলে এবং এটি নির্ধারণের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: লক্ষ্যবাজার হলো নির্দিষ্ট একটি গ্রাহক গোষ্ঠী, যাদের চাহিদা মেটানোর জন্য পণ্য বা সেবা তৈরি ও প্রচার করা হয়। লক্ষ্যবাজার নির্ধারণের জন্য বাজার বিভাজন (Segmentation), লক্ষ্য স্থিরকরণ (Targeting), এবং অবস্থান নির্ধারণ (Positioning) — এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করা হয়।

প্রশ্ন ৩: ৪P’s বা মার্কেটিং মিক্স কী?
উত্তর: ৪P’s হলো মার্কেটিং কৌশলের চারটি প্রধান উপাদান —
  • পণ্য (Product): গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি বস্তু বা সেবা।
  • মূল্য (Price): পণ্যের বিনিময়ে গ্রাহক থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ।
  • প্রচার (Promotion): পণ্য সম্পর্কে গ্রাহককে জানানো ও আগ্রহী করার প্রক্রিয়া।
  • স্থান (Place): পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি ও বিতরণ চ্যানেল।
প্রশ্ন ৪: গ্রাহকের সন্তুষ্টি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
উত্তর: গ্রাহকের চাহিদা ও প্রত্যাশা ভালোভাবে বুঝে সেই অনুযায়ী মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা সরবরাহ করলে গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত হয়। তাছাড়া বিক্রয়-পরবর্তী সেবা, সময়মতো ডেলিভারি এবং গ্রাহকের মতামত গ্রহণ ও প্রয়োগ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কেটিং-সম্পর্কিত-৫টি -বর্ণনামূলক-ভাইভা-প্রশ্ন-ও-উত্তর
প্রশ্ন ৫: বাজার গবেষণা কেন জরুরি?
উত্তর: বাজার গবেষণার মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা, প্রতিযোগীদের অবস্থা এবং বাজারের প্রবণতা বোঝা যায়। এটি ব্যবসাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে, পণ্যের মান উন্নত করতে এবং কার্যকর বিপণন কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করে।

মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর FAQ

১) মার্কেটিং কি এবং এর উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে গ্রাহকের চাহিদা বুঝে পণ্য বা সেবা তৈরি, মূল্য নির্ধারণ, প্রচার ও বিতরণ করা হয়।  

মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্য হলো —  
  • গ্রাহকের চাহিদা জানা।  
  • সঠিক পণ্য সঠিক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো।  
  • বিক্রয় ও ব্র্যান্ড পরিচিতি বৃদ্ধি।  
  • গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন ও সম্পর্ক গড়ে তোলা।
প্রশ্ন ২: মার্কেটিং পলিসি কি?  
উত্তর: ব্যবসার লক্ষ্য পূরণে পণ্য বা সেবা বাজারজাত করার জন্য নির্ধারিত নীতিমালা ও কৌশলকে মার্কেটিং পলিসি বলে।  

প্রশ্ন ৩: ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?  
উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটিং কম খরচে দ্রুত বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং ফলাফল সহজে পরিমাপ করা যায়।  

প্রশ্ন ৪: লক্ষ্যবাজার কি?  
উত্তর: নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠী, যাদের জন্য পণ্য বা সেবা তৈরি ও বিপণন করা হয়, তাকে লক্ষ্যবাজার বলে।  

প্রশ্ন ৫: গ্রাহকের সন্তুষ্টি কীভাবে অর্জন করা যায়?  
উত্তর: গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত পণ্য সরবরাহ, সময়মতো পরিষেবা এবং বিক্রয়োত্তর সহায়তা দিয়ে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।  

শেষ কথাঃমার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

মার্কেটিং এর ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে এতক্ষন আমরা বিস্তারিত জেনেছি। মার্কেটিং কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে বাজারে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়। ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিক বিপণন কৌশল ও গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়।

আশা করি, এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। যদি এটি আপনার উপকারে আসে, তবে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমরা জানবোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url